দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় অমিত শাহের সভা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক দিন পরে কলকাতায়। ধর্মতলায় এর আগে শাহ সভা করেছিলেন ২০১৪ সালে। ন’বছর পরে বুধবার সেই একই জায়গায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভায় আসবেন শাহ। রবিবার খুঁটিপুজোর দিন থেকেই ধর্মতলায় বিজেপি নেতাদের ভিড় শুরু হয়ে যায়। আর মঙ্গলবার সভার আগের দিন সকাল থেকে নেতা মন্ত্রীদের যাতায়াত। দুপুরেই মঞ্চ তৈরির অগ্রগতি দেখতে আসেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সন্ধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সারা দিন একটি বারের জন্য দেখা যায়নি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। কোথায় রইলেন তিনি দিনভর?
দিলীপ এ দিন ছিলেন নিজের এলাকায়। তবে শাহের সভার প্রচারে নয়। তাঁকে দেখা গিয়েছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠানের প্রচারে। বিজেপির দলীয় অনুষ্ঠান না হলেও গেরুয়া শিবির এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। সেখানে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কোথাও সে ভাবে প্রচার শুরু হয়নি। সে ক্ষেত্রে সবার আগে সেই প্রচারটাই শুরু করে দিলেন দিলীপ।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠানের প্রচারে দেওয়াল লিখছেন দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুর লোকসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভা। সেখানকার বড়কোলা অঞ্চলেই মঙ্গলবার দিনভর ছিলেন দিলীপ। আর সেখানকার মোহনপুর চকে তাঁকে ব্রিগেড সমাবেশের দেওয়াল লিখতে দেখা যায়। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘বিজেপি একা কোনও কাজ করে না। সবের ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা টিম তৈরি হয়। বুধবারের কর্মসূচির পরিচালনার দায়িত্ব যাঁদের উপরে তাঁরা দেখছেন। আমি যে হেতু রাজ্য সংগঠনের কেউ নই, তাই আমার কোনও দায়িত্বও নেই। স্বাভাবিক ভাবেই নিজের এলাকায় প্রচারের কাজে ছিলাম। শাহের সভার প্রচারের পাশাপাশি মোদীজির কর্মসূচির প্রচারও সেরে ফেললাম।’’ দিলীপের দাবি, ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের লক্ষ্য নেওয়া হলেও সেটা ‘লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে’ হয়ে যাবে। তাঁর লোকসভা এলাকায় ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রচারে তিনি আরও বেশি করে অংশ নেবেন বলেও জানিয়েছেন দিলীপ।
শাহের সভায় অবশ্য বক্তৃতা করার কথা দিলীপের। নিজের এলাকায় থাকলেও বুধবার খড়্গপুর থেকে সরাসরি ধর্মতলার সভাস্থলে তিনি চলে আসবেন বলেও জানিয়েছেন।