রাজ্যে ‘প্রশাসক’ বসানোর হুঁশিয়ারি বিজেপির

রাজ্যের ১৭টি পুরসভার মেয়াদ ফুরনো সত্ত্বেও সেগুলিতে ভোট না করে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

মেয়াদ ফুরনো পুরসভায় রাজ্য সরকার যে ভাবে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাচ্ছে, প্রয়োজনে সেই নীতিই রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিল বিজেপি। তৃণমূল অবশ্য ওই হুঁশিয়ারিকে ‘অজ্ঞতার ফসল’ বলে মনে করছে।

Advertisement

রাজ্যের ১৭টি পুরসভার মেয়াদ ফুরনো সত্ত্বেও সেগুলিতে ভোট না করে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সোমবার বলেন, ‘‘কোন পরিস্থিতিতে মেয়াদ ফুরনো পুরসভায় ভোট না করে প্রশাসক বসানো যায়, তার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হলে এটা করা যায়। তা হলে ফিরহাদ হাকিমরা বলুন, রাজ্যে তাঁদের জমানায় জরুরি অবস্থার মতো দশা, আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে, তাই পুরসভাগুলিতে ভোট করতে পারছেন না! সেটা না বলে হেরে যাওয়ার ভয়ে ভোট বন্ধ করা যায় না।’’ এর পরেই জয়প্রকাশবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘‘ফিরহাদ হাকিমদের সাবধান করে দিতে চাই, এমন চললে তাঁদের মাথার উপরেও যদি প্রশাসক বসানো হয়, তখন যেন তাঁরা অভিযোগ না করেন!’’ তিনি কি রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন? জয়প্রকাশবাবুর বক্তব্য, ‘‘যা বলার, বলেছি। আর কিছু বলব না।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষপাতী নই। কিন্তু তৃণমূল সরকার যদি পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বসিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা ভোগ করে যেতে চায়, তা হলে আমাদেরও আর ওই দাবি তোলা ছাড়া কী উপায় থাকবে?’’ মেয়াদ ফুরনো পুরসভাগুলিতে অবিলম্বে ভোট করার দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি আইনের দ্বারস্থও হবে বিজেপি।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বিজেপির বক্তব্য উড়িয়ে বলেন, ‘‘পুরসভাগুলির মেয়াদ ফুরনোর আগে কোথাও প্রশাসক বসানো হয়নি। রাজ্যের বিধানসভার কি মেয়াদ ফুরিয়েছে যে বিজেপি নেতারা এখানে প্রশাসক বসানোর খোয়াব দেখছেন? এ সব অজ্ঞ লোকেদের কথা!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement