ভোটের আগে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা ভিড়েছিলেন অন্য দলে। ভোটে জয়ী হয়ে তাঁদের কেউ কেউ ফিরতে শুরু করেছেন পুরনো দলেই। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই তিন ‘নির্দল’ কাউন্সিলর ফিরেছেন তাঁদের পুরনো দল তৃণমূলে। এ বার সেই তালিকায় সংযোজিত হচ্ছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর বাপি ঘোষের নাম। বিজেপি ছেড়ে বাপি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে বুধবার দাবি করেছেন স্বয়ং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে বাপি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের কাজে তিনি নিজেকেও সামিল করতে চান বলে বাপি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বলে মেয়র এ দিন জানান।
মেয়র এ দিন বলেন, ‘‘বাপি বরাবরই তৃণমূলেরই কর্মী ছিলেন। পুরভোটে দলের মনোনয়ন পাননি। এ নিয়ে পুরভোটের আগে মনোমালিন্যের কারণে বিজেপির প্রার্থী হয়ে বাপি জয়ী হন।’’
বাপির দল পরিবর্তনকে ‘ঘরের ছেলের ঘরে ফেরা’ বলেই মনে করেন মেয়র। তিনি জানান, বাপি তৃণমূলে যোগ দিতেই এ দিনই তাঁকে পুরসভার মেয়র ‘রিলিফ ফান্ড কমিটি’র সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। বাপি যোগদান করায় পুরসভায় শাসক দলের কাউন্সিলরের সংখ্যা ১১৭ থেকে বেড়ে ১১৮ হল।
তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বাপি অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। এ দিন রাতে ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে মেয়রের চূড়ান্ত কথা হয়নি।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও বাপির তৃণমূলে যোগদানের খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে খারিজ করেছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের তরফ থেকে প্রচার করা হচ্ছে। এর কোনও ভিত্তি নেই। আমাদের ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনিও বলেছেন এটা নিছক রটনা।’’
মেয়র অবশ্য রাহুলবাবুর বক্তব্য শুনে কটাক্ষ করেন, ‘‘ঈশ্বর ওঁর মঙ্গল করুন!’’