লাথির আঘাতে এ ভাবেই ঝোপের মধ্যে পড়ে যান জয়প্রকাশ। —ফাইল চিত্র।
প্রার্থী হিসাবে ভোটের দিন নিজের কেন্দ্রে ঘুরছিলেন তিনি। সেই সময় একটি বুথে ঢোকার আগে চূড়ান্ত লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন। ভোটের ফল বেরনোর পর সেই করিমপুর নিরাশ করল বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে। যে ৩২ নম্বর বুথের বাইরে তাঁর উপর দুষ্কৃতীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, বিধানসভা উপনির্বাচনে সেখানে মাত্র ২টো ভোট পেলেন তিনি।
করিমপুরের পিপুলখোলার ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ নম্বর বুথে ভোট চলাকালীন গত সোমবার সেখানে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন জয়প্রকাশ। প্রায় ২০-১৫ জনের একটি দল তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি লাথি-কিল-চড় মারা হয় তাঁকে। লাথির আঘাতে টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে পড়েও যান তিনি।
এই ঘটনা শুরু থেকেই তৃণমূলকে দায়ী করে আসছেন জয়প্রকাশ। ভোট লুঠে বাধা দেওয়াতেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তাঁর সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় তৃণমূল। তিনি নাটক করছেন বলে পাল্টা কটাক্ষ করেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়। হার নিশ্চিত জেনে মানুষের সহানুভূতি কুড়োতে জয়প্রকাশ পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও সেই সময় তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: ছ’মাসেই বদলে গেল হাওয়া, বিজেপি ২ থেকে শূন্য, তৃণমূল ১ থেকে ৩
তার পরেই বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, বিমেলেন্দু সিংহ রায়ের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি জয়প্রকাশ। মোট ৭৪০ ভোটের মধ্যে বিমলেন্দু যেখানে ৭০৭টি ভোট পেয়েছেন, সেখানে জয়প্রকাশের ঝুলিতে মাত্র ২টি ভোট পড়েছে। সিপিএম প্রার্থী গোলাম রাব্বি পেয়েছেন ২৭টি ভোট। ৩টি ভোট পেয়ে জয়রপ্রকাশের থেকে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় ন্যায় অধিকার রক্ষা পার্টির দোলা সিংহ রায়ও। ১ টি ভোট গিয়েছে নোটায়।
আরও পড়ুন: বিজেপির ‘ঔদ্ধত্য-অহংকার’ মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি, উপনির্বাচনের ফল স্পষ্ট হতেই তোপ মমতার
শুধু ৩২ নম্বর বুথেই নয়, ৩৩ নম্বর বুথেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি জয়প্রকাশ। ৭৮৫ ভোটের মধ্যে ৬৩৪টি ভোট পেয়ে সেখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের বিমলেন্দু সিংহ রায়। সিপিএম-এর গোলাম রাব্বি পেয়েছেন ১০৪টি ভোট। ৩৮টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জয়প্রকাশ।