BJP

নেতৃত্বের চাপ, বন্ধ রাকেশের র‌্যালি, ‘একলা’ মিছিলে শোভন-বৈশাখী

গত সোমবার মিছিলে না আসার পর বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখী জুটির যে ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে রবিবারের বৈঠকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৫৬
Share:

সোমবারের মিছিলে থাকার কথা শুধুই শোভন-বৈশাখীর।

রাজ্য বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে দলকে স্বস্তি দেওয়ার পরে স্বস্তি পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জুটি। সোমবার বিকেলে গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর বিজেপি-র দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক জেলার মিছিলে বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে যে থাকছেন শোভন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর সোমবারই দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র বস্তি উন্নয়ন শাখার প্রস্তাবিত মিছিল বাতিল হল।

Advertisement

গত ৪ জানুয়ারি, সোমবার শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র যে বাইক র‌্যালি হওয়ার কথা ছিল, তার আয়োজনের দায়িত্ব ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র বস্তি উন্নয়ন শাখার আহ্বায়ক রাকেশ সিংহ। সে দিন অনেক প্রস্তুতির পরেও শোভন-বৈশাখী মিছিলে আসেননি। নম-নম করে মিছিল সারতে হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাকেশ। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই ঝাল মেটাতেই ১১ জানুয়ারি, সোমবার শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল হচ্ছে জেনে একই দিনে নিজেও একটি মিছিল করার পরিকল্পনা করেন রাকেশ। ঠিক করেন, আগের সোমবারের রুটে এই সোমবারও আলিপুর চিড়িয়াখানার কাছে অরফ্যানগঞ্জ রোড থেকে বিজেপি-র রাজ্য সদর দফতর পর্যন্ত মিছিল হবে।

বস্তুত, বিজেপি-র অন্দরেও অনেকে মনে করছিলেন, রাকেশ আলাদা মিছিল করলে তার প্রভাব পড়তে পারে শোভন-বৈশাখীর মিছিলের উপর। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে ওই জুটির সঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ‘ইতিবাচক’ বৈঠকের পরে রাকেশকে মিছিল না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও রাকেশের দাবি, ‘‘পুলিশের অনুমতি না মেলাতেই সোমবার মিছিল হচ্ছে না। পুলিশ দিনক্ষণ জানালেই ফের ওই মিছিল হবে।’’ মিছিল না করার জন্য রাকেশ এমন যুক্তি দিলেও সেটা যে সব নয়, তা মানছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতাদের একাংশও। কারণ, ৪ জানুয়ারি শোভন-বৈশাখী না আসার পর রাকেশের আয়োজনে মুকুল রায় ও অর্জুন সিংহকে নিয়ে কৈলাসের যে মিছিল হয়েছিল তাতেও পুলিশের অনুমোদন ছিল না।

Advertisement

আরও পড়ুন: কয়লা পাচার-কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি ইডির, দুবাই যোগ আরও স্পষ্ট​

বিজেপি সূত্রের খবর, গত সোমবার মিছিলে না আসার পর বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখী জুটির যে ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে রবিবারের বৈঠকে। সাধারণ ভাবে বিজেপি-র তরফে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরদিন দলের কোন নেতার কোথায় কী কর্মসূচি রয়েছে। রবিবার শোভন-বৈশাখীর মিছিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। এ থেকেই স্পষ্ট যে, কৈলাস ও অন্যান্য নেতার সঙ্গে হেস্টিংসে বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ে হওয়া শোভন-বৈশাখী বৈঠক শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হচ্ছিল। তার আগে পর্যন্ত দলের তরফে সোমবারের মিছিল নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।

আরও পড়ুন: আমরা সবাই নাগরিক, বার্তা মতুয়াদের, সিএএ নিয়ে বিজেপিকে তোপ মমতার​

তবে রাজ্য নেতৃত্ব এখনও শোভন-বৈশাখীর থেকে খানিক ‘দূরত্ব’ রেখেই চলতে চাইছেন। অন্তত দলের একাংশের তেমনই দাবি। এই অংশের বক্তব্য, সে কারণেই সোমবার শোভন-বৈশাখীর মিছিলে ‘উল্লেখযোগ্য’ তেমন কেউ থাকছেন না। রাজ্য বিজেপি-র এক নেতার কথায়, ‘‘ওঁরা একাই আগে কাজ শুরু করুন। তার পরে সবাই মিলে করা যাবে। আর একা তো নন! ওঁরা তো দু’জন আছেন।’’ তারপর ঈষৎ বিরতি দিয়ে বললেন, ‘‘ওঁরা অবশ্য একলা। এক। অভিন্ন। শোভন বললেই বৈশাখীর নামও চলে আসে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement