অফিসে দেরি করে এলে ছুটি কাটার উপরে জোর দিয়ে আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ছুটি না থাকলে কম্পেনসেটরি সিএল-ও কেটে নেওয়া হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বার বিদ্যুৎকর্মীদের হাজিরায় আরও কঠোর ভাবে নজরদারি চালাতে বিদ্যুৎ ভবনের বাইরেও রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যুৎ অফিসে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। বন্ধ হচ্ছে হাজিরা খাতায় সই করার ব্যবস্থা।
এক শ্রেণির কর্মীর দেরি করে অফিসে আসা, কাজে ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে বণ্টন সংস্থার অন্দরমহলে। এর ফলে গ্রাহকদের ভুগতে হয়, তেমনই অনেক কাজ ঠিক সময়ে শেষ হয় না। পরিস্থিতির বদল ঘটাতে আজ, বুধবার থেকে সবর্ত্রই বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সব কর্মীর বায়োমেট্রিক তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। বণ্টন সংস্থার সব আঞ্চলিক অফিস এই ব্যবস্থার আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, কাজে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা আনতেই বণ্টন সংস্থার কর্তৃপক্ষ সর্বত্র বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু করছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কাজে গতি এলে বাড়বে ব্যবসার বহরও।