দিল্লিতে বৃহস্পতিবার আত্মপ্রকাশ করেছেন বিমল গুরুঙ্গ। তার তিন দিন পরে গুরুঙ্গের খাসতালুকে গিয়ে সভা করে এলেন বিনয় তামাঙ্গ। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, পাহাড়ের রাশ এখন তাঁরই হাতে।
গুরুঙ্গ দিল্লি গিয়েছেন, এই খবরে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে ফের উৎসাহের সঞ্চার হয়েছিল বলে মোর্চা সূত্রেই খবর। ঘটনাচক্রে, এ দিন বিজেপির নাম করে পাহাড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে। তারপরেই তামাঙ্গ দেরি না করে, সোজা পাতলেবাসের কাছে জামুনিতে গিয়ে সভা করলেন। পাতলেবাসেই গুরুঙ্গর বাড়ি। তাঁর আমলে মোর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ও ছিল সেখানেই। মোর্চার সূত্রে খবর, সে কারণেই তামাঙ্গ নিজের প্রভাব বুঝিয়ে দিতে সভা করার জন্য পাতলেবাসকেই বেছে নিয়েছেন। মোর্চার এক নেতার কথায়, ‘‘গুরুঙ্গের কিছু সমর্থক এখনও পাহাড়ে সক্রিয়। গুরুঙ্গ দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন, এই খবর জানার পরে তাঁরা অতি সক্রিয় হয়ে উঠতে পারতেন। তাঁদের বার্তা দিতেই তামাঙ্গ পাতলেবাসে সভা করলেন।’’ ওই সভায় স্থানীয়রাও জড়ো হন। সেখানে বিনয় নাম না করে গুরুঙ্গের সমালোচনা করে বলেন, আগে দিশাহীন আন্দোলন করতে গিয়ে বিপত্তি হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে। এখন মেপে পা ফেলতে হবে। তিনি জোর দেন শান্তিপূর্ণ ভাবে দাবি আদায়ের উপরে।
ঘটনাচক্রে, শনিবার বিনয়দের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার কথা তুলে কটাক্ষ করেছিলেন গুরুঙ্গ অনুগামীরা। তারপরে এ দিন বিজেপির নাম করে পাহাড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক কাজকর্মের অভিযোগ তোলা হয়েছে। পাহাড়ের কয়েকটি এলাকায় হাতে লেখা পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে, গোটা রাজ্যের মতো পাহাড়েও গণতন্ত্র বিপন্ন। যদিও তৃণমূলের পাহাড় শাখার মুখপাত্র বিন্নি শর্মা বলেছেন, ‘‘যাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার অভিযোগ ওঠে, তাদের পাহাড়ে কোনও জায়গা নেই।’’ মোর্চা নেতা অনীত থাপাও বিজেপির পোস্টারকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি যদি এতই পাহাড়প্রেমী, তা হলে গত ৬ মাস ধরে সাংসদের দেখা নেই কেন, কেনই বা তাঁর নামে থানায় মিসিং ডায়েরি করাতে হয়েছে।’’ গুরুঙ্গ গত জুলাই মাসে আত্মগোপনের আগেই সাংসদকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় মিসিং ডায়েরি হয়েছিল। সে সময়ে বিষয়টি নিয়ে সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া বলেছিলেন, যথাসময়ে তিনি জবাব দেবেন ও পাহাড়ে যাবেন। এ দিন সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য মেলেনি।