পাহাড়ে বন্ধ ডাকা থেকে শুরু করে যাবতীয় হিংসার দায় বিনয় তামাঙ্গ ও অনীত থাপার ঘাড়ে চাপাতে চেষ্টা করলেন গুরুঙ্গ। তাঁর দাবি, এনআইএ তার তদন্ত করুক।
মঙ্গলবার কট্টরপন্থী মোর্চাদের পক্ষে গোপন ডেরা থেকে রোশন গিরির নামে এক প্রেস বিবৃতি হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, পাহাড়ে সাম্প্রতিক টানা বন্ধের সিদ্ধান্ত বিনয় তামাঙ্গ ও অনীত থাপার মতো নেতারাই নিয়েছিলেন। ওই বিবৃতির দাবি, হিংসাত্মক সব কাজকর্মের ষড়যন্ত্রও বিনয়-অনীতের মস্তিষ্কপ্রসূত। তাই এনআইএ-কে দিয়েই বিনয়-অনীতের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন গুরুঙ্গপন্থীরা। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়েই পাহাড়ের নানা ঘটনার তদন্ত করানোর জন্য গুরুঙ্গ অনেক দিন ধরেই চাপ দিচ্ছিলেন। তাই এনআইএ তদন্তভার পাওয়ায়, তা গুরুঙ্গদের রাজনৈতিক জয় হয়েছে বলেই অনেকের মত। পাহাড়ের মানুষের ধারণা, গুরুঙ্গ এ বার এনআইএ-র নজরও বিনয়, অনীতের দিকে সরিয়ে দিতে চাইছেন।
কী বলছেন বিনয়রা? বিনয়ের প্রশ্ন, ‘‘কার বাড়ির সামনে একে ৪৭ মিলেছে? কার বাড়ির কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে? কার খাসতালুকে পুলিশ অফিসারকে গুলি করে মারা হয়েছে? এ সবই সামনে আসা দরকার।’’ তাঁর বক্তব্য, তিনি ও বিনয় এনআইএ কেন, যে কোন তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। আলোচনাপন্থীদের দাবি, ঠিকঠাক তদন্ত হলে গুরুঙ্গ ও তাঁর সঙ্গীদের রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়।
এনআইএ পাহাড়ে আসার পরেই সিআইডিও তদন্তে গতি বাড়িয়েছে। এ দিন, চকবাজারের বিস্ফোরণের জায়গা, পাতলেবাসের নীচে ছোট রঙ্গিতের ধারেও সিআইডির দল ঘুরেছে। এখানেই খুন করা হয়েছিল এসআই অমিতাভ মালিককে। কালিম্পং থানার সামনে, মিরিকেও সিআইডির দল গিয়ে কয়েকজনকে জেরা করেছে।
আজ বুধবার, কালিম্পঙে বিনয়-অনীতের জনসভা হওয়ার কথা। দার্জিলিং, কার্শিয়াং পুরসভা দখলে এলেও এখনও আলোচনাপন্থীদের কাছে কালিম্পং অধরা। ফলে, বিনয়-অনীতরা আজ কালিম্পঙের জন্য কেয়ারটেকার বোর্ডের পক্ষ থেকে কী কী ঘোষণা করেন, সেটাই দেখার।