মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সবে ষষ্ঠী। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে বিজয়ার শুভেচ্ছা-বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দিকে। যা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য মনে করছে, শুভেচ্ছার দিন-তারিখ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থহীন!
সূত্রের খবর, সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদনকারীরা প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পেয়েছেন। তার পরে সেই বার্তা পৌঁছেছে আরও নানা জনের কাছে। সরকারি প্রতীক দেওয়া যে চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে, তার তারিখ ২৪ অক্টোবর। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী প্রথম ওই চিঠির ছবি প্রকাশ্যে আনেন। বিজয়ার শুভেচ্ছার চিঠি আগেই বিলি হয়ে গেল কী ভাবে, সেই বিষয়ে সরকারি সূত্রে অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। কেউ মুখ্যমন্ত্রীর নামে চিঠি ‘নকল’ করেছে কি না, তেমন কোনও দাবি বা অভিযোগও এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিঠি। —নিজস্ব চিত্র।
বিষয়টি নিয়ে স্বভাবতই কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। সিপিএমের সুজনের মন্তব্য, ‘‘বোধনের আগেই বিসর্জন, জন্মের আগেই অন্নপ্রাশন! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন প্রকল্প যেমন মহালয়াতেই, বিজয়ার শুভেচ্ছাও তেমনই!’’ কেষ্টপুর, বাগুইআটি, কামারহাটির একাধিক জায়গায় ষষ্ঠীর দিনে দলের শারদীয়া বই বিপনির উদ্বোধনে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। সেখানে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তাঁর স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী মর্ত্যে ডেকে নেওয়ায় প্রথমে মহাদেব কিছুটা অবাক হয়েছিলেন। তার পরে ধাতস্থ হয়ে বলেন, সকলই তোমারই ইচ্ছা! তবে অনুরোধ করেন, তাঁর স্ত্রীকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মর্ত্যে আটকে না রাখতে। কারণ, তখন কৈলাশে প্রবল তুষারপাতের জন্য ফিরতে সমস্যা হবে। শেষ পর্যন্ত মহাদেবের অনুরোধে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্ত্রীকে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এই জন্যই এগিয়ে বাংলা!’’
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘জানি না, কোন চিঠির কথা বলা হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী তো প্রত্যেক বছর উৎসবের দিনগুলিতে শুভেচ্ছা জানান। এর দিন-তারিখ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অর্থহীন।’’