প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক কাশ্মীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নেমেছে সিপিএম। পুরোপুরি কেন্দ্র-বিরোধিতার অবস্থানে তাদের পাশে শুধু ডিএমকে এবং নানা বিভ্রান্তি-সহ কংগ্রেস। কেন কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয়ে দল এমন অবস্থান নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে সিপিএমের অন্দরেও। সামাজিক মাধ্যমে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের নানা মন্তব্যে তা ধরা পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি কাটাতে উদ্যোগী হল সিপিএম। সাম্প্রতিক কালে কোনও বিষয়ে ‘বিভ্রান্তি’ দূর করতে এমন উদ্যোগ এই প্রথম।
কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাশ্মীর প্রসঙ্গে সিপিএমের অবস্থান ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমকে। দলের কলকাতা জেলা কমিটি, এরিয়া ও লোকাল কমিটি, শাখা ও ফ্র্যাকশন কমিটির সদস্যেরা ওই আসরে থাকবেন। শুধু দলের লোকজনই নন, সাধারণ মানুষও চাইলে সিপিএমের বক্তব্য ও অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন। তার জন্যই কলকাতা জেলা সিপিএমের ফেসবুক পেজে লিঙ্ক দিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দলের ফেসবুক পেজ মারফত আজ ওই আসরের সরাসরি সম্প্রচারও হবে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানেও যে কেউ যোগ দিতে পারেন। সিপিএম সূত্রের ইঙ্গিত, কলকাতার পরে প্রয়োজনে অন্যান্য জেলাতেও এমন আসর হতে পারে।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি যে অগণতান্ত্রিক উপায়ে তা করা হয়েছে, তারও বিরোধিতা করেছে সিপিএম। তাদের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে আগেই। তাই রাজ্যের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মত নেওয়ার সুযোগই ছিল না। কাশ্মীরের পরে এ বার যে কোনও রাজ্যকে অন্ধকারে রেখেই তার বিভাজন বা অন্য কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিপিএম নেতারা। আবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিধায়ক তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছিল দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। কেন ইয়েচুরি সেখানে যাচ্ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ! এই আবহেই অবস্থান স্পষ্ট করার আয়োজন।
সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে বহু প্রশ্ন আছে অনেকের। কেন এই অবস্থান আমরা নিচ্ছি, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে অনেক। এই প্রশ্নগুলো ছোঁয়া এবং সাধ্যমতো উত্তর দেওয়ার চেষ্টা হবে।’’