বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে আসা বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারী আবারও কলকাতার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে আসেন তিনি। অতীতেও তাঁকে একাধিক বার এই মামলার তদন্তে তলব করা হয়েছিল বিভাসকে। এমনকি, বীরভূমে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু হয়। সিবিআইয়ের পাশাপাশি, ইডিও তদন্ত শুরু করে এই মামলায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতারের পরই এই মামলায় নাম জড়ায় বিভাসের। তিনি মানিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ছিলেন। বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতিও ছিলেন বিভাস।
মানিকের গ্রেফতারির পর পরই ইডি আধিকারিকরা উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই ফ্ল্যাটের সঙ্গে বিভাসের যোগ রয়েছে বলে দাবি করে ইডি। তল্লাশি অভিযানের পর সেই ফ্ল্যাট সিলও করে দেওয়া হয়। গত বছর এপ্রিল মাসে বীরভূমে বিভাসের বাড়ি এবং আশ্রমে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। সেখান থেকে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করে তারা। তার পর বার কয়েক নিজাম প্যালেসে তাঁকে ডেকে পাঠান সিবিআই আধিকারিকেরা।
এর আগেও বিভাস হাজিরা দিয়েছেন। অনেক নথিও জমা দিয়েছেন। দিন কয়েক আগেও বিভাসকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে এমন জানিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। আবার সোমবার তলব করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, বিভাসের থেকে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। তা জমা দিতেই নিজামে এসেছেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোমবার বিভাসকে নতুন করে জেরা করা হবে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ বিভাসকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শুধু তা-ই নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো গোপাল দলপতিও বিভাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। পরে দেখা যায়, নলহাটিতে বিভাসের বাড়ি এবং আশ্রমে হানা দেয় সিবিআই।
্