প্রতীকী ছবি।
বাইরের উস্কানি যে ছিল, সে ব্যাপারে প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিল পুলিশ। বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ছড়ানো হচ্ছিল ভুয়ো ছবি-বার্তা। ফলে পুলিশ কিছু করতে পারছিল না। এ বার বড়সড় গোলমাল পাকিয়ে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়াকে ফের অশান্ত করার বার্তা ছড়ানো হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বুধবার রাত থেকে ফেসবুকে উস্কানিমূলক একটি বার্তা ছড়ায়। বিষয়টি নজরে আসতেই সক্রিয় হয় পুলিশ। কমিশনারেটের সাইবার অপরাধ বিভাগ কম্পিউটার ও মোবাইলের আইপি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করে ওই গ্রুপের ‘অ্যাডমিন’-এর সন্ধান পায়। কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) অজয় ঠাকুর জানান, গ্রুপ-অ্যাডমিন ভাটপাড়ারই বাসিন্দা। তিনি বারাসতে একটি সংস্থায় কাজ করেন। পুলিশকে তিনি জানান, গ্রুপটি কয়েক জন মিলে চালান। ফলে কে ওই বার্তা ছড়িয়েছে, তা তিনি জানেন না। ডিসি বলেন, “এমন বার্তা কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক যে বার্তা ছড়ানো হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে বিজেপি ও দলের সাংসদ অর্জুন সিংহের। অর্জুন বলেন, “জানি, আমার নামে এ রকম বার্তা ঘুরছে। এটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি, যারা এমন ছড়াচ্ছে, তাদের ধরা হোক।” বিজেপি বৃহস্পতিবার মাইক নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরে মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আবেদন জানায়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কর্তারা এ দিন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
ভোটের সময় থেকেই গোলমাল শুরু হয় ভাটপাড়ায়। এ পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে পাঁচ জনের। জখম বেশ কয়েক জন। সরকারি হিসেবে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে কয়েকশো বাড়ি। ঘরছাড়া বহু মানুষ। গোলমাল যত বেড়েছে, ছড়িয়েছে গুজবও। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে তাতে ছড়ানো হয়েছে ভুয়ো বার্তা-ছবি। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ছবি বা ভিডিয়োগুলির কোনওটা হাওড়ার, কোনওটি আবার উত্তরপ্রদেশের।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবারও রামনগরে নতুন করে ঝামেলা হয়। এ দিন বোমা বাঁধতে গিয়ে জখম হয় বিদ্যুৎ সরকার (৫৮) নামে এক ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।