অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে সম্বোধন করেছেন। ‘বনদেবী’ও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে।
এ বার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা টানলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, ‘লৌহমানবী’ মার্গারেট থ্যাচার এবং মা সারদার সঙ্গে।
তিনি— পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার তথা ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত মিলন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ভারতীদেবী। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী সভামঞ্চে পৌঁছতেই ভারতীদেবী ঘোষণা করেন, “আজ এখানে এমন এক অভিভাবক উপস্থিত হয়েছেন, যিনি তাঁর উন্নয়নের উড়োজাহাজে বাংলাকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। বাংলা হয়ে উঠেছে বিশ্ববাংলা। যাঁকে শিল্পজগৎ মনে করে বাংলার মার্গারেট থ্যাচার।’’ মাইক হাতে এখানেই থামেননি ভারতীদেবী। মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা টানেন মা সারদার সঙ্গেও।
ভারতীদেবী বলেন, ‘‘তিনি (মমতা) অসহায়ের সহায়। দীন দরিদ্র ও দুঃস্থের মা সারদা। কিন্তু আমাদের কাছে তিনি শুধুই একজন মা। জঙ্গলমহলের মা।’’ মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কবিতাও পাঠ করে শোনান এই আইপিএস অফিসার।
ভারতীদেবীর মমতা-বন্দনার সময় মুখ্যমন্ত্রী স্মিত হেসে কখনও কথা বলেছেন সুব্রত বক্সীর সঙ্গে, কখনও এক মনে মোবাইলে মেসেজ টাইপ করেছেন। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর আগে ‘কন্যাশ্রী’, ‘যুবশ্রী’ প্রকল্পের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে ভারতী বলেন, “বিগত সরকারের অবহেলায় বাংলার গর্ব তার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণায় বাংলার লোকশিল্পীরা আজ বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত, আদৃত ও সম্মানিত।’’
এর আগে ২০১৪-র ডিসেম্বর ও ২০১৫-র জানুয়ারিতে মেদিনীপুরে পুলিশের দু’টি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ভারতী। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বনদেবী’ও বলেছিলেন তিনি।