ফাইল চিত্র।
জাতীয় রাজনীতিতে আগামী দিনে নিজের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভূমিকার ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের প্রচার-সভায় বৃহস্পতিবার তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাকে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ দেখতে হলে ভবানীপুর থেকেই দেখতে হবে। দেশ দেখতে হলেও ভবানীপুর থেকেই দেখতে হবে। হয়তো এটাই অদৃষ্টে লেখা ছিল।’’
পর্যবেক্ষকদের মতে, তাঁর মুখ্যমন্ত্রী-পদ পাকা করার জন্য মমতা যেমন ভবানীপুর থেকে জিতে আসার উপরে জোর দিচ্ছেন তেমন এই জয়ের উপর দাঁড়িয়েই জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবস্থানের বিষয়টিও আগাম স্পষ্ট করে দিতে চাইছেন।
দু’টি নির্বাচনী সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে বুধবার প্রায় একই রকম আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা। ভবানীপুর কেন্দ্রের এই মিশ্র এলাকার মানুষের কাছে এ দিন ফের সে কথাই বললেন তিনি। গুজরাত, রাজস্থান, বিহার ও আরও কিছু রাজ্যের মানুষের বাস ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া অঞ্চলে। সেখানেই বাংলার সম্প্রীতি ও ঐক্যের ঐতিহ্যের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দল (তৃণমূল) তো ক্ষমতায় আছেই। দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোকের অভাব নেই! আপনারা যদি চান আমি ৩৬৫ দিন কাজ করে যাই, তা হলে একটা দিন প্রত্যেককে ভোটটা দিতে হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই নির্বাচনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে মমতা আরও বলেন, ‘‘৬ মাস আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারি। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে আমাকে বিধায়ক হতে হবে। যতক্ষণ আমি বিধায়ক হচ্ছি না, ততক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী পদ আমার পক্ষে শোভনীয় হবে না। তাই আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।’’
সদ্য পেরিয়ে আসা বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এ দিনও বিজেপির বিরুদ্ধে গা-জোয়ারির অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘গায়ের জোর ছাড়া বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না!’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি ২৯৪টি আসনও ধরে রাখতে পারেন। কিন্তু সত্যি এটাই যে, মুখ্যমন্ত্রীকে আবার ভোটে লড়তে হচ্ছে! সেখানে রোজ বিজেপিকে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আত্মবিশ্বাস থাকলে এটা হত না।’’
সভার আগে এ দিন জৈন মন্দির দর্শন করেন মমতা।