জিষ্ণু বসু। —নিজস্ব চিত্র। গ্রাফিক: অসীম রায়চৌধুরী।
লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণার সাত দিনের মধ্যেই বেজে উঠেছে ‘মোহন-বাঁশি’। মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। রাজনীতির বৃত্তে থাকাদের একাংশের মতে, নাম না-করে ভাগবত নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই। ভাগবতের মন্তব্যের পরেই ‘অর্গানাইজ়ার’ পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ রতন সারদা জানিয়েছেন, বিজেপি নেতারা আসলে উড়ছিলেন। এ বারের লোকসভা নির্বাচন তাঁদের নামিয়ে এনেছে মাটিতে। সঙ্ঘের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ইন্দ্রেশ কুমার জয়পুরের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘‘যাঁরা উদ্ধত ও অহঙ্কারী, ভগবান রাম তাঁদের ২৪০-এ থামিয়ে দিয়েছেন।’’ তবে কি সঙ্ঘ-বিজেপির সম্পর্কে চিড় ধরেছে? আনন্দবাজার অনলাইন সেই প্রশ্ন নিয়ে পৌঁছেছিল সঙ্ঘের পূর্বক্ষেত্রের সহ-প্রচারপ্রমুখ জিষ্ণু বসুর কাছে।
মোহন ভাগবতের মন্তব্য ঘিরে এত বিতর্ক। আপনার কী ব্যাখ্যা?
আমাদের কাছে সরসঙ্ঘচালক পদটি অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। উনি কিছু বলার পরে সংগঠনের পক্ষে আর সেটার ব্যাখ্যা করা হয় না। উনি যা বলেছেন, সেটাই শেষ কথা। তবে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে অনেকে তাঁর মন্তব্য নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে যেমন বামপন্থী আছেন, তেমনই আছেন তৃণমূল সমর্থকও। তাঁরা বলেছেন, অনেক দিন পরে এত ভাল একটা দার্শনিক বক্তব্য শুনেছেন। প্রত্যেকেরই উচিত আত্মমূল্যায়ন করা। স্পষ্ট করা উচিত নিজের মন এবং মত। সরসঙ্ঘচালকের মন্তব্যকেও সে ভাবেই নেওয়া উচিত।
কোন সুতোয় বাঁধা সঙ্ঘ-বিজেপি সম্পর্ক?
খুবই সহজ সম্পর্ক। বিজেপিতে স্বয়ংসেবকেরা আছেন। তেমনই ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমস) বা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর মধ্যেও স্বয়ংসেবকেরা আছেন। যাঁর যেমন রুচি, তিনি সেই অনুযায়ী নির্ধারিত সংগঠনে যান। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁরা শিক্ষক সংগঠন করেন। যাঁরা বিজ্ঞানচর্চা করেন তাঁরা বিজ্ঞান ভারতীতে যান। কিন্তু অন্য সংগঠনের দায়িত্ব নিতে গেলে তাঁকে সঙ্ঘের দায়িত্ব ছাড়তে হয়। শুরু সেই গুরুজি মাধব সদাশিবরাও গোলওয়ালকরের সময় থেকেই। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যখন জনসঙ্ঘ তৈরি করেন, তখন গুরুজি কিছু স্বয়ংসেবককে পাঠিয়েছিলেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে সঙ্ঘ থেকেও কাউকে কাউকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য পাঠানো হয়।
সঙ্ঘ-বিজেপির মধ্যে কী ভাবে সংযোগরক্ষা হয়?
আমাদের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক এবং সংগঠন মন্ত্রীরাই মূলত সম্পর্ক রাখেন। সঙ্ঘে ‘সম্পর্ক অধিকারী’ বলে একটি পদ আছে। যাঁরা এক একটি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার কাজ করেন। আমিও কয়েকটি সংগঠনের সম্পর্ক অধিকারী। ওই সব সংগঠনের দাবিদাওয়া, চাহিদা দেখা আমার দায়িত্ব। আর স্বয়ংসেবকেরা তো আছেনই। অনেকে বিজেপিতে আসার পরে সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। অনেক সময় বিজেপিতে সঙ্ঘের প্রচারকেরাও থাকেন। পশ্চিমবঙ্গেও আছেন। আমাদের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় সমন্বয় বৈঠক হয়। সেখানে আমরা আমাদের মত প্রকাশ করি। বলার সঙ্গে সঙ্গেই যে সব সময়ে তার ফল পাওয়া যায়, তা নয়। আমাদের কর্মক্ষমতা, কিছুটা যোগাযোগের অভাব, ভুল বোঝাবুঝি ইত্যাদি নানা কারণে লক্ষ্য সম্পূর্ণ পূরণ হয় না।
তৃণমূল এ বার স্লোগান তুলেছিল ‘বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’..।
এটা ভয়ঙ্কর! বাংলা বিরোধী কে? যে প্রাদেশিকতা অসম বা দক্ষিণ ভারতে দেখেছি, সেটাকে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন দেওয়া হচ্ছে! আমরা ভারতীয়। সেই পরিচয়টাই তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেপিও তো একটা সময় স্লোগান তুলেছিল ‘কংগ্রেসমুক্ত ভারত’ গড়ার।
বিরোধী মতকে গুরুত্ব দেওয়াই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। হীরেন মুখোপাধ্যায় এবং দত্তপন্থ ঠেংরি একসঙ্গে চিন গিয়েছেন। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। সেটাই ঠিক। যে যা-ই বলুন না কেন, গণতন্ত্রই টিকবে। আমরা চাই গণতন্ত্র থাকুক। আমরা ‘টোটালিটেরিয়ান রেজ়িম’ চাই না। আমরা চাই, বামপন্থীরা থাকুন। মহামতি মার্ক্সের কথা লোকে ভাবুক। গান্ধীর কথা বলুক। এটাই ভারতবর্ষের আদর্শ।
কংগ্রেসমুক্ত ভারতের স্লোগান কি ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ?
কংগ্রেসমুক্ত ভারত মানে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে কংগ্রেস ঔপনিবেশিক শাসনেরই অনুকরণ করেছিল। কংগ্রেসি আমলে চা-বিক্রেতার ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে সেটা ভাবাই যেত না। বিবেকানন্দের মালা-মুচি-মেথরের ঝুপড়ির ভিতর থেকে বেরোনো নতুন ভারত যে সম্ভব, সেটা ভারতীয় জনতা পার্টি করে দেখিয়েছে। কংগ্রেসমুক্ত ভারত আসলে ঔপনিবেশিক ভাবনার থেকে মুক্ত ভারত। সেটা থেকে তো দেশ মুক্ত হয়েইছে।
কিন্তু শেষমেশ তো দেশ কংগ্রেসমুক্ত হল না!
জওহরলাল নেহরু বা ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু পরবর্তী কাল এবং ইউপিএ ২-এর সময়কার কংগ্রেসের সঙ্গে তুলনা করা হলে তো বলতে হয়, হাতি রূপান্তরিত হয়েছিল ইঁদুরে। এখন বড়জোর খরগোশের চেহারা নিয়েছে। তবে হ্যাঁ, এটা হওয়া উচিত। এটা হলেই গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য টিকে থাকবে। একমাত্র কমিউনিস্ট দেশের টোটালিটেরিয়ান শাসনের মতো দেশে একটাই মতবাদ থাকে। কিন্তু অন্য মতবাদও থাকা উচিত! একটা পুরনো গ্রিক প্রবাদ ছিল না, ‘অ্যাবসোলিউট পাওয়ার করাপ্টস অ্যাবসোলিউটলি’।
ভোট চলাকালীন জেপি নড্ডা বললেন, বিজেপি আর সঙ্ঘের উপরে নির্ভরশীল নয়। সত্যিই কি তাই?
ঠিকই তো বলেছেন। আমাদের উদ্দেশ্যই তা-ই। ছেলে বড় হয়ে গেলে তো সে নিজের পায়ে দাঁড়ায়। তখন কি আর তাকে বাবার উপর নির্ভরশীল হতে হয়! বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্ঘ কাজ করে। এক একটি সংগঠন আড়েবহরে অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। সঙ্ঘের পক্ষে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা আর সম্ভব নয়। উচিতও নয়।
ছেলে বড় হয়ে গেলে পরিবারকে আর দরকার হয় না?
সেটা তো নড্ডাজি বলেননি। উনি বলেছেন, নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই। সেটা তো ঠিকই।
সম্পর্কের টান কি ক্ষীণ হয়েছে?
তেমন কিছু নয়। আসলে বাইরের লোক সব সময়েই চায়, স্বামী-স্ত্রী বা শাশুড়ি-বৌয়ের মধ্যে গন্ডগোল লাগুক। তাই আমাদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। স্বামী-স্ত্রী কখনও সমচিত্তের অধিকারী হন না। কিন্তু সহচিত্ত যেন হন। দু’জনের চিত্তের মধ্যে গরমিল নিয়ে অনেকেই বিরোধ লাগানোর চেষ্টা করবে। তখনই একটা সংসার টিকে যায়, যখন স্বামী-স্ত্রী এটা বুঝে যান যে, মনের অমিল সত্ত্বেও একে অপরকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন। আমাকেও বুঝতে হবে যে, এক জন বিজেপি কর্মী এক জন স্বয়ংসেবককে যতটা ভালবাসেন, তেমন করে আর কেউ ভালবাসেন না।
স্বামী-স্ত্রীর সহচিত্তের সম্পর্কেও কি একে অপরকে ‘টেকন ফর গ্রান্টেড’ ধরা উচিত?
নেহরুও তো আমাদের ‘টেকন ফর গ্রান্টেড’ বলে ধরেছিলেন। চিন আক্রমণের সময় সঙ্ঘ যে ভাবে আধাসেনার মতো করে কাজ করেছিল, সেটা নেহরুকে অবাক করে। তার পরের বছর ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে সঙ্ঘকে আমন্ত্রণ জানান নেহরু। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চকরামপুর শাখার সঙ্ঘকর্মী চুড়কা মুর্মু প্রাণ দিয়েছিলেন। আমরা কিন্তু নেহরু-ইন্দিরার সঙ্গে ছিলাম ‘টেকন ফর গ্রান্টেড’। যখনই ভারতবর্ষের কোনও সমস্যা হবে, দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা ‘টেকন ফর গ্রান্টেড’। সে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে কি সেটা স্বাস্থ্যকর?
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই চড়াই-উতরাই থাকবেই। সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কাজের বিনিময়ে আমরা কী পেলাম সেটা আমাদের দেখার কথা নয়। ভাগবত একটা ভাল কথা বলেন, স্বয়ংসেবককে শুধু দিতে হবে। কিছু পাওয়া যাবে না। এই ব্যবস্থা যখন ভেঙে যাবে, তখন সংগঠনও আর থাকবে না।
সঙ্ঘ আর বিজেপির মধ্যে সহচিত্তের সম্পর্ক কি আগের মতো আছে?
স্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি ১০০ শতাংশ পারফেক্ট? কিন্তু আমাকে তো আমার পরিবার নিয়েই চলতে হবে। আমার কিছু হলে আমার স্ত্রীরই সবচেয়ে কষ্ট হবে। আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীর সম্পর্কে কোনও সাময়িক চিড় না ধরলে বাঁচার মজাই থাকত না। সংগঠনও তা-ই। কিছু হয়ে থাকলে আমরা ঘরের মধ্যেই আলোচনা করে মিটিয়ে নেব।
তা হলে চিড় আছে?
সামান্য ছোটখাটো কিছু থাকতেই পারে। বাকিটা সাগরপারের যাঁরা পয়সা লাগাচ্ছেন বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। কোথাও কোনও চিড় নেই। যারা বলছে, মিথ্যে বলছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।
কৃষি বিল বা এফডিএ নিয়ে তো সঙ্ঘের সঙ্গে বিজেপির বিরোধ বেধেছে!
ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ এত দিন কাজ করার পর কৃষকদের সম্পর্কে যতটা বোঝে, কোনও মন্ত্রীও হয়তো সে ভাবে বোঝেন না। সঙ্ঘও তাই সে সব ক্ষেত্রে কিসান সঙ্ঘের বক্তব্যকেই অগ্রাধিকার দেয়। মজুরদের ক্ষেত্রেও তাই মজদুর সঙ্ঘকেই সকলের আগে মান্যতা দেওয়া হয়। এতটা বড় করে হয়তো রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেখতেও পান না। তাঁদের আরও অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। পুঁজি আনতে হয় চিন-তাইওয়ান-জাপানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। কিন্তু শ্রমিকের স্বার্থ ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘই দেখবে। সঙ্ঘ তাই মজদুর সঙ্ঘের জন্যই ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বিজেপি কি ক্ষমতায় থেকে সাধারণ মানুষের জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে?
একেবারেই নয়। বরং বিজেপি অনেক ক্ষেত্রেই সর্বস্পর্শী হয়েছে। এ রাজ্যে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে আমাদের কোনও কর্মী নেই। কিন্তু বিজেপির কর্মীরা আছেন। এর খারাপ দিক আপনি দেখতেই পারেন। ওই গ্লাস অর্ধেক ভর্তি না খালি— সে রকম ব্যাপার (হাসি)।
কিসান সঙ্ঘ চাষিদের দাবিদাওয়া বুঝতে পারলে বিজেপি কেন পারে না?
কোথায়? বোঝার চেষ্টা করেছে তো! শেষ পর্যন্ত তো কিসান সঙ্ঘের সূত্র মেনেই ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য স্থির করল সরকার।
সেটা তো অনেক পরে।
সব সময়ে ‘দেরি’র সমালোচনা করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। উৎপাদন বৃদ্ধির কথাও মাথায় রাখতে হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো দান-খয়রাতির রাজনীতি করে দেশের মঙ্গল হবে না।
রাজনৈতিক দলগুলি ক্ষমতায় থাকতে থাকতে কি ম্যানেজমেন্টের মতো আচরণ করতে শুরু করে?
সেটা তো বটেই। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সিপিএম তাদের কৃষকসভার কথা শুনলে গন্ডগোল হত না।
মণিপুরের সমাধান এখনও কেন অধরা?
মণিপুরের একটা বন্দুকের ইতিহাস আছে। একটা উগ্র ভারতবিরোধী স্রোত আছে। তাই কায়েমি স্বার্থে মণিপুর নিয়ে কারও খেলা করা উচিত না। শুধু উস্কানি দিলে, আগুনের মধ্যে পেট্রল ঢালার কাজ করলে ক্ষতি হবে। দুই সম্প্রদায়ের দুঃখ বুঝে সংবেদনশীল হয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
এ বার সারা দেশেই সঙ্ঘকর্মীরা সে ভাবে ভোটপ্রচারে অংশ নেননি। কেন?
সারা দেশের কথা বলতে পারব না। কিন্তু এ রাজ্যে ‘জনজাগরণ’ বা ‘লোকমত পরিষ্কারে’র কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা কখনও কোনও একটা রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন না। ‘সকাল সকাল ভোট দিন’, ‘নিজের ভোট নিজে দিন’, ‘নোটায় ভোট দেবেন না’— এই রকমের প্রচার করেন। এ বারেও করেছেন। আগের চেয়ে বেশিই করেছেন।
রতন সারদা বলেছেন সঙ্ঘকর্মীদের ‘টেকন ফর গ্রান্টেড’ বলে ধরে নিয়েছিল বিজেপি।
এটা বামপন্থী এবং বিদেশি পুঁজির মিলিত চক্রান্ত। ভারত যে নিজের আদর্শ নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, সেটা তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সঙ্ঘ শিবিরের কর্মীদের মনোবল ভাঙার নানা চেষ্টা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যদি এটা প্রচার করা যায়, সঙ্ঘের কর্মীরা অসন্তুষ্ট বলে কাজ করেননি, তা হলে সাগরপারের ওই উদ্দেশ্য সফল হবে।
নির্বাচনী প্রচারে উচ্চকিত হিন্দুত্ববাদ কি হিতে বিপরীত হল?
এ ভাবে দেখা উচিত নয়। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, “তুমি যে সমাজের জন্য এত কাজ করলে, সেই সমাজ তোমাকে বিতাড়িত করতে পারে। তা হলেও তুমি সমাজের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলবে না।” ফলে এমন হতেই পারে। সমাজ তোমাকে জেতাবে বলেই যে তুমি কাজ করেছ, তা তো নয়।