পঞ্চায়েত ভোটে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। অথচ কোথাও থাকছে না মহিলা পরিচালিত বুথ। তেমনই খবর রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের।
২০১৪ সালের লোকসভা এবং ২০১৬ সালের বিধানসভার ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলা পরিচালিত বুথ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে আগেও হয়নি।
এ বারও তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তাই প্রধান অন্তরায় হয়েছে। কারণ, মহিলা পরিচালিত বুথগুলির ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে হয়।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলাতে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। কিন্তু সেখানে মহিলা ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের কোনও খবর কমিশনের কাছে নেই। সেই সূত্র ধরে কমিশনের বক্তব্য, প্রশিক্ষণ ছাড়া ভোটকর্মী হিসাবে কেউ কাজ করতে পারেন না। আপাতত কোনও জেলা থেকেই মহিলা পরিচালিত বুথ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে জেলাশাসকেরা চাইলে করতে পারেন। লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে কোথায় মহিলা বুথ হবে, তা স্থির করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনই। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তেমন কোনও ভাবনা নেই। উল্লেখ্য, রাজ্যে ৬-৭ শতাংশ মহিলা সরকারি কর্মী রয়েছেন।
পঞ্চায়েত ভোটে ৫০ শতাংশে আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেখানে মহিলা পরিচালিত বুথ নেই কেন? এই প্রশ্নের জবাবে দলমত নির্বিশেষে সবাই নির্বাচন কমিশনের উপরে দায় চাপিয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘এই বিষয়ে আমায় কেন জিজ্ঞেস করছেন। এটা দল বা সরকারের বিষয় নয়। কমিশন ঠিক করে।’’ বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘মহিলা পরিচালিত বুথ হলে ভাল হত। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই মহিলাদের উপর আক্রমণ চলছে। কমিশন কিছুই করছে না।’’ আর গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ বসুর বক্তব্য, ‘‘এটা তো নির্বাচনই নয়, প্রহসন। সেখানে আর মহিলা পরিচালিত বুথ!’’