একদিনের ভোটে মূল প্রশ্ন, পুলিশ মিলবে তো?

এক দিনে ৫৮ হাজার বুথে পঞ্চায়েত ভোট হবে রাজ্যে। তা সুষ্ঠুভাবে করাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী মিলবে কোথা থেকে? বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর এটাই  সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

Advertisement
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৮ ০৮:৫৯
Share:

এক দিনে ৫৮ হাজার বুথে পঞ্চায়েত ভোট হবে রাজ্যে। তা সুষ্ঠুভাবে করাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী মিলবে কোথা থেকে? বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

Advertisement

যদিও রাজ্য পুলিশ কমিশনকে জানিয়েছে, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পুলিশের ব্যবস্থা করতে কোনও সমস্যা নেই। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে যথেষ্ঠ সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী নবান্নের হাতে রয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি দফতর থেকে আরও কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মী পাবে রাজ্য পুলিশ। ভোট প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার, হোমগার্ড, গ্রামীণ পুলিশ মিলিয়ে আরও দেড় লক্ষ কর্মী পাওয়া যেতে পারে বলেও পুলিশ কর্তারা কমিশনকে জানান।

যদিও তার পরেও প্রতি বুথে অন্তত দু’জন সশস্ত্র(বন্দুকধারী হলে দু’জন একসঙ্গে বুথে পাঠানোই দস্তুর) পুলিশ কোন অঙ্কে দেওয়া সম্ভব তা ভেবে পাচ্ছেন না কমিশন কর্তারা। প্রাথমিকভাবে অতি স্পর্শকাতরের জন্য চার, স্পর্শকাতর বুথে দুই এবং সাধারণ বুথের জন্য একজন সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে ভোট চেয়েছিল কমিশন। তা মানতে হলে রাজ্যের হাতে থাকা বাহিনী দিয়ে কতটা সম্ভব, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। পুলিশের এক মুখপাত্রের মতে, ‘‘সে ক্ষেত্রে এক মাত্র উপায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের দিন বুথ পাহারায় লাগানো।’’

Advertisement

কমিশনের হিসেবে এ বার সাধারণ বুথের সংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজার। স্পর্শকাতর ২২ হাজার এবং অতি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার। পুলিশ কর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, ৫৮ হাজার ৪৬৭টি বুথ থাকলেও ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৪৩ হাজার ৮৭টি। ফলে প্রতি ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিশ দিতে অসুবিধা হবে না। সশস্ত্র রক্ষীদের সহযোগিতার জন্য লাঠিধারী পুলিশ, হোমগার্ড, বা সিভিক ভলান্টিয়াররাও থাকবেন।

বাহিনীর সম্ভাব্য চিত্র রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ৪৬ হাজার কলকাতা পুলিশ ১২ হাজার বন, কারা এবং আবগারি থেকে দু’হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, হোমগার্ড এক লক্ষের বেশি

নবান্নের দাবি, রাজ্য পুলিশের হাতে ৪৬ হাজার সশস্ত্র পুলিশ রয়েছে। কলকাতা পুলিশ পাওয়া যেতে পারে আরও ১২ হাজার। সিভিক ভলান্টিয়ার, হোমগার্ড, ভিলেজ পুলিশ ধরলে সংখ্যাটা বেড়ে হবে আরও প্রায় দেড় লক্ষ।

এর পাশাপাশি অস্ত্র প্রশিক্ষণ থাকা অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী পেতে আবগারি, বন এবং কারারক্ষীদেরও এ বার ভোটের কাজে লাগানো হবে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৮০০ জন বনরক্ষী চাওয়া হলেও মিলতে পারে ২৫০ জন। নবান্নের আশা অন্যান্য দফতর গুলি থেকে শেষ পর্যন্ত আনুমানিক দু’হাজার অতিরিক্ত রক্ষী পাওয়া যাবে।

তারপরেও দু’টি প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর নেই পুলিশ কর্তাদের কাছে। ভোটের কাজে প্রায় ৯০% পুলিশ ব্যস্ত হয়ে পড়লে প্রচার পর্বের আইন-শৃঙ্খলা দেখবে কারা? এক দিনে ভোট হওয়ায় এক জেলার পুলিশ অন্য জেলায় যাবে কী ভাবে? এই ক’দিন থানাগুলিই বা চলবে কীভাবে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement