প্রতীকী ছবি।
ভোট শুরুর পর থেকে অনুরোধ আসছিল, ‘‘শরবতটা খেয়ে গলা একটু ভেজান নিন স্যার।’’ কখনও চেয়ার এগিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছিল, ‘‘এই রোদ্দুরে ডিউটি করছেন, বসে একটু জিরিয়ে নিন।’’ বেলা বাড়তেই মিষ্টি কথার সুর বদলে গেল ধমক-চমকে। শেষে জুটল হাঁসুয়ার কোপ!
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে ডিউটি পড়েছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কনস্টেবল জয়ন্ত নস্করের। আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হয়েছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেয়েছেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। হাসপাতাল সূত্রের খবর, জয়ন্তবাবুর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক জনকে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন মহেশপুর এলাকার একটি বুথের দায়িত্বে ছিলেন জয়ন্ত। বেলা বাড়তেই সেখানে ঢুকে হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। বাধা দিলে জয়ন্তবাবুর মাথায় হাঁসুয়ার কোপ মারা হয়। মারধর করা হয় জয়ন্তর সঙ্গী দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে আসেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষ। তিনিই জয়ন্তকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
জখম কনস্টেবল বলেন, ‘‘সকাল থেকেই বেশ কয়েকবার ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছিল কয়েক জন। শেষে ব্যালট বাক্স নিয়েই পালাচ্ছিল। আটকাতে গেলে মাথায় মেরেছে।’’
পুলিশের উপরে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে হাবড়ার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েত এলাকাতেও। কিছু দুষ্কৃতী বুথ দখল করে বলে অভিযোগ। অশোকনগর থানার পুলিশ এসে তাদের হটিয়ে দেয়। পুলিশ অনেক দেরিতে এসেছে, এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে কিছু লোক। তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয়। চোট পান সাব ইন্সপেক্টর বলাই ঘোষ, সিভিক ভলান্টিয়ার রাজু ঘোষ ও গোবিন্দ পাল।
তথ্য সহায়তা: সীমান্ত মৈত্র