পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসের যাবতীয় অভিযোগকে প্রচারমাধ্যমের কুৎসা বলে উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাঁর দাবি, গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত হিংসার ঘটনা দশেও পৌঁছায়নি। যে চার জন খুন হয়েছেন, তাঁরা সবাই তৃণমূলের লোক।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তৃণমূলকে হারাতে হাজার চক্রান্ত করেও কেউ কিস্সু করতে পারবে না। তৃণমূল একশো শতাংশ আসন জিতবে। পঞ্চায়েতে উত্তাল সবুজ ঝড় হবে।’’ তাঁর বক্তব্য, এ বার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল না জিতলে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজশ্রীর মতো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাবে না। কারণ, অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে তারা কথা না-ও শুনতে পারে।
ভোট ঘিরে রাজ্য জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে সম্পর্কে এ দিন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নিজের অভিমত জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাজধর্ম পালন করেছি বলেই বিরোধীরা ৯৬ হাজার মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছে। মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ২ লক্ষ।’’
সন্ত্রাস প্রসঙ্গেও বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমরা শাসক দল। শাসক দল অশান্তি চাইবে কেন?’’ এই সূত্রেই সংবাদমাধ্যমের দিকে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘প্রচারমাধ্যমে মিথ্যা দেখানো হচ্ছে, মিথ্যা কথা লেখা হচ্ছে। আনন্দবাজার পত্রিকা এবং এবিপি আনন্দ পরিকল্পনা করে আমাদের বিরুদ্ধে এই কাজ করছে। আনন্দবাজারের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশ আছে। টাকা দিয়ে এবিপি-কে বিজেপি কাজে লাগিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: রাহুলের কাছে নত হব না: মমতা
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য একমত নন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের চেহারা মানুষ চোখের সামনে দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাত-দশটি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বললেও মানুষ তা বিশ্বাস করছে না।’’ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মন্তব্য, ‘‘গণতন্ত্রকে ধর্ষণ করা হচ্ছে বাংলায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী লজ্জিত নন! তাঁর বক্তব্য থেকেই এটা পরিষ্কার।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বলেন, ‘‘সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের বদলে মা-মাটি-মানুষের নেত্রী তাতে আরও ইন্ধন দিচ্ছেন!’’