প্রার্থী প্রত্যাহারে ফের আসরে থান

বিরোধীদের নাম প্রত্যাহারের প্রশ্নে ট্রাডিশন মেনে এখনও বাড়িতে থান পৌঁছে দেওয়ার রেওয়াজ চলছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

করিমপুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

লাল থেকে সবুজ— পালাবদলের পরেও সাদা থানের কদর কমেনি!

Advertisement

বিরোধীদের নাম প্রত্যাহারের প্রশ্নে ট্রাডিশন মেনে এখনও বাড়িতে থান পৌঁছে দেওয়ার রেওয়াজ চলছে বলে অভিযোগ। শাসক দলের রাঙা চোখ অবজ্ঞা করে মনোনয়ন পেশ করলে এখনও বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ধবধবে সাদা এক ফালি থান।

বাম জমানায় যে অভিযোগ করতেন তৃণমূল বা কংগ্রেস প্রার্থীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সেই অভিযোগই ফিরিয়ে দিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগের আঙুল শাসক তৃণমূলের দিকে।

Advertisement

মঙ্গলবার নদিয়ার দিঘলকান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি-প্রার্থী দীপা মন্ডলের (টিকাদার) এমনই অভিযোগ।

দিঘলকান্তি রাজনৈতিক হানাহানি তেমন দেখেনি। এলাকাটি তৃণমূলের দীর্ঘ দিনের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। এ বার সেখানেই বিরোধী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দীপা। তাঁর অভিযোগ, প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁর ফোনে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছে তৃণমূল। দাবি, নাম প্রত্যাহার না করলে ‘শাস্তি’ পেতে হবে। তাতে অবশ্য দমে যাননি তিনি। তবে জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার সকালে দরজা খুলেই দেখেন দোরগোড়ায় পড়ে রয়েছে সাদা থান, সঙ্গে চিঠি— মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না-করলে গোটা পরিবারের চরম ক্ষতি হবে।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত অবশ্য বলছেন, “এ সংস্কৃতি আমদানি করেছিল সিপিএম। ওরাই সেটা চালাচ্ছে। ক্ষমতায় থাকার সময় আমাদের কর্মীদের বাড়িতে সাদা থান পৌঁছে দিত। আমরা ওই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নই।” যা শুনে সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে পাল্টা বলেন, “কী বলব? এ সব ভিত্তিহীন কথার তো কোনও উত্তরই হয় না।”

আর, বিজেপির নদিয়া (উত্তর) জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলছেন, ‘‘সন্ত্রাস কোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, শাসক দল ভাবতে পারছেন!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement