গড়বেতায় ‘হেনস্থা’ দিবাকর, তপনদের

রবিবার সকালে গড়বেতা আদালতের সামনে সিপিএম নেতা তপন ঘোষ ও দিবাকর ভুঁইয়াকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ছোট আঙারিয়া গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত তপনবাবু সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গড়বেতা ও চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:২৮
Share:

এক সময়ের দাপুটে দুই সিপিএম নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল গড়বেতায়। তার মধ্যে একজন এ বার আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদে দলের প্রার্থী। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের দাবি জনরোষের শিকার হয়েছেন ওই দুই নেতা।

Advertisement

রবিবার সকালে গড়বেতা আদালতের সামনে সিপিএম নেতা তপন ঘোষ ও দিবাকর ভুঁইয়াকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ছোট আঙারিয়া গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত তপনবাবু সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য। আর দিবাকরবাবু সিপিএমের গড়বেতা এরিয়া কমিটির সম্পাদক। গড়বেতা থেকে এ বার দলের জেলা পরিষদে লড়ছেন তিনি। শেষ দিন মনোনয়নের আগে এমন দুই নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে দিনভর সরগরম ছিল গড়বেতা।

এ দিন সকালে দলীয় বৈঠক সেরে গড়বেতা আদালতের সামনে একটি চা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তপনবাবু ও দিবাকরবাবু। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘বেঞ্চে বসে নিজেদের মধ্যেই কথা বলছিলাম। হঠাৎ একদল তৃণমূল কর্মী এসে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ শুরু করে। তারপর আমাদের হেনস্থা করা হয়।’’ যদিও এই ঘটনায় সিপিএমের তরফে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কেন? দিবাকরবাবুর জবাব, ‘‘কোনওরকম প্ররোচনায় আমরা পা দেব না বলেই কোথাও অভিযোগ জানাচ্ছি না। তা ছাড়া, পুলিশে জানিয়েও তো কোনও লাভ নেই।’’

Advertisement

সিপিএম নেতাদের হেনস্থার অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। দলের ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নয়। তবে গড়বেতার মানুষ সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের সহ্য করতে পারছেন না। তাই ছোট আঙারিয়া কাণ্ডে জড়িত সিপিএম নেতাদের দেখতে পেয়ে চলে যেতে বলেছিলেন।’’ গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীরও দাবি, ‘‘জনরোষের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’

চন্দ্রকোনা রোডে আবার তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে কাদা ছেটানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। স্থানীয় দুর্লভগঞ্জের ওই দেওয়ালে কাদা ছেটানোর পাশাপাশি তৃণমূলের দলীয় পতাকা, ফেস্টুন খুলে ফেলে বিজেপির পতাকা লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে চন্দ্রকোনা রোড বিট অফিসের পুলিশ দু’পক্ষের স্থানীয় নেতাদের ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূলের শঙ্করকাটা অঞ্চল সভাপতি জ্ঞানাঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরা আমাদের প্রার্থীর সমর্থনে লেখা দেওয়ালে কাদা ছিটিয়ে দিয়েছে, পতাকা-ফেস্টুন খুলে দিয়েছে।’’ যদিও চন্দ্রকোনা রোডের বিজেপি নেতা তথা দলের জেলা সম্পাদক রাজীব কুণ্ডুর দাবি, ‘‘আমরা এসব নোংরা রাজনীতিতে নেই। ওটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে ঘটেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement