করোনা টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলেই সিএএ কার্যকর করা হবে। মতুয়া সম্প্রদায়ের পীঠস্থানে দাঁড়িয়ে এই আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মতুয়াদের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন শাহ। ঠাকুরনগরের আগে কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে জনসভা করেছেন অমিত। সেখানে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দেন শাহ। সভায় রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
অমিত শাহের বক্তব্য:
৫.১৪: বাংলায় অনুপ্রবেশের সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এলেই সীমান্তে এমন বন্দোবস্ত করা হবে, যে মানুষ তো দূরের কথা পায়রাও অনুপ্রবেশ করতে পারবে না।
৫.০৮: কিন্তু মমতা দিদি বলছেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি। বলছেন, বাধা দেবেন। কেন্দ্র চালু করলেও আমি বাধা দেব। কিন্তু দিদি, এটা সংসদে তৈরি হওয়া আইন। সেটা কী ভাবে বাধা দেবেন? তা ছাড়া এপ্রিলের পর আপনি তো বাধা দেওয়ার অবস্থাতেও থাকবেন না। কারণ ভোটের পর আপনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। কিছু লোক ভুল বোঝাচ্ছেন। বলছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের নাগরিকত্ব থাকবে না। কিন্তু আমি আশ্বস্ত করছি, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব নেওয়ার বিধান নেই। নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান আছে।
৫.০৬: আমি একটা কথাই বলব। এক বার আপনারা ভারতীয় জনতা পার্টিকে জেতান, আমরা বাংলাকে সোনার বাংলা করে দেব। বাংলাদেশ থেকে শরনার্থী হিসেবে বহু মানুষ এখানে এসেছেন। তাঁদের কোনও সম্মান মেলে না। কংগ্রেস সরকার যত বারই কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। কিন্তু আমরা ২০১৮ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছি। ২০১৯ সালেই আইন পাশ করেছি। তার পর করোনা চলে এল, সেই জন্য দেরি হচ্ছে। কিন্তু আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেটা করবই। করোনা টিকাকরণের কাজ শেষ হলেই সিএএ কার্যকর হবে।
৫.০৪: ভাই-বোনেরা, আপনাদের একটা প্রশ্ন করতে চাই। মোদী সরকার যতই সাহায্য় করুন, মমতা দিদি আটকে না দিলে আপনাদের কাছে পৌঁছবে? এখানে এমন একটা সরকার চাই, যে সরকার মোদীজির সঙ্গে হাতে হাত ধরে চলবে আর বাংলার উন্নয়ন হবে। মোদীজি তো বিরাট ইঞ্জিন রয়েছেনই। সেই সঙ্গে রাজ্যেও বিজেপি সরকার এলে ডবল ইঞ্জিন চলবে। পিছিয়ে পড়া জাতি, দলিতদের জন্য মোদী সরকার অনেক কাজ করেছেন।
৫.০০: সংবাদ মাধ্যম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন সিএএ-র বিষয়ে জানতে চান। আমি বুক ঠুকে সে বিষয়ে বলব। কিন্তু তার আগে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরকে প্রণাম করব। এই দুই মহান পুরুষ মতুয়াদের আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলনের রূপে নিয়ে গিয়েছেন। শিক্ষাকে শক্তিশালী করেছেন। তার জন্য়ই আজ এই সমাজ এগিয়ে এসেছে। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ যে আন্দোলন করেছেন, সেই পথেই মোদী সরকার এগিয়েছে। গরিবদের ঘরে বিদ্যুৎ গ্যাস, ঘর দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আয়ূষ্মান ভারতের মতো প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। কিন্তু মমতা দিদি এই প্রকল্প এই রাজ্যে চালু করতে দিচ্ছেন না। কিন্তু দিদি, কত দিন আটকে রাখবেন? ভোট শেষ হতেই আপনার বিদায় নিশ্চিত। আমি আশ্বস্ত করছি, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই আয়ূষ্মান ভারত চালু হবে। পিএম কিসান সম্মান নিধির ১২ হাজার বকেয়া এবং চলতি বছরের ৬ হাজার মিলিয়ে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে দেব।
৪.৫৭: এই জমিতেই বিভূতি ভুষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মেছিলেন, যিনি পথের পাঁচালি দিয়েছিলেন। এই ভূমিতেই হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরদের মন্দির রয়েছে। মরিচঝাঁপি আন্দোলনের কথা আমি ভুলিনি। বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এসেই অত্যাচার করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানাতেই বন্ধ হয়নি। হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর যে ভূমিতে আন্দোলন করেছিলেন, দলিতদের জন্য লড়াই করেছিলেন, সেই ভুমি রক্তাক্ত হচ্ছে।
৪.৫৫: আজ দ্বিতীয় বার ঠাকুর বাড়িতে এসেছি। কিছু কারণে আমার সফর স্থগিত হয়েছিল। তাতে মমতা দিদি খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু মমতা দিদি, আমি বার বার ঠাকুর বাড়িতে আসব। উনি ভেবেছিলেন, সব কিছু শেষ হয়ে গেল। কিন্তু দিদি শুনে রাখুন, আজ থেকে সবে শুরু হল। এখানে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন, পরবর্তী সরকার বিজেপির হবে।