ছবি: সংগৃহীত।
নতুন শিল্পতালুক বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরিতে ইনসেন্টিভ স্কিমের (আর্থিক সুবিধা) মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। ২০১৪ সালের প্রকল্পের মেয়াদ গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বেসরকারি শিল্পতালুক সংগঠিত ভাবে যাতে বিকশিত হতে পারে, তাই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে। চর্মনগরী, রাবার, ফাউন্ড্রি, হোসিয়ারি, পোশাক ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিল্পতালুক ইতিমধ্যে রাজ্যে তৈরি হওয়ায় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।”
সরকারের সিদ্ধান্ত, পরিকাঠামো তৈরিতে যে খরচ হবে, ইনসেন্টিভের আওতায় তার একটা অংশ ফিরিয়ে দেওয়া হবে বিনিয়োগকারীকে। সে ক্ষেত্রে মূল পুঁজির ২০ শতাংশ সাধারণ পরিকাঠামো খাতে ব্যয় করতে হবে বিনিয়োগকারীকে। ২০ থেকে ৩৯ একরের মধ্যে জমির পরিমাণ হলে ২ কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে। ৪০-৫৯ একরের মধ্যে জমি হলে আর্থিক সুবিধার পরিমাণ ৪ কোটি টাকা। ৬০ থেকে ৭৯ একরের মধ্যে জমি থাকলে ৬ কোটি, ৮০ থেকে ৯৯ একরের জমির ক্ষেত্রে ৮ কোটি এবং ১০০ একরের বেশি জমি হলে ১০ কোটি টাকা ইনসেন্টিভ দেবে সরকার। ‘কমন এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ বসালে একর পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ইনসেন্টিভ পাওয়া যাবে। তা ছাড়া জমি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি ফিরিয়ে দেবে সরকার। উদ্যোগপতি জমি দিলে বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন রাজ্য সরকারই তৈরি করে দেবে। সেখানে উদ্যোগপতিকে কোনও খরচ করতে হবে না। মূল রাস্তা থেকে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত শিল্পতালুকের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তাও তৈরি করে দেবে রাজ্য।
শিল্পমহলের একাংশের বক্তব্য, রাজ্যে চালু শিল্পতালুকগুলিতে এখনও জমি ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। নতুন শিল্পতালুকের চাহিদা কতটা আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে লকডাউন পর্বে যে ভাবে শিল্প এবং ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, তাতে নতুন করে বিনিয়োগের বিষয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। বস্তুত, এখন রাজ্যে প্রায় ১৩০০ একর জমির উপর ১৪টি শিল্পতালুক রয়েছে। এ দিন অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের আরও একশোটি পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ন্যূনতম ২০ একর জমির উপরে ২০টি শিল্পকে নিয়ে এক একটি শিল্পতালুক তৈরি হবে।