বর্ধমানে এসবিএসটিসি-র বাস। —ফাইল চিত্র।
সরকারি বাসের টিকিট ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাটার ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এসবিএসটিসি)। কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের লক্ষে ধাপে ধাপে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান তমোনাশ ঘোষ জানান, প্রথমে বর্ধমান-কলকাতা রুটে এই পরিষেবা চলুর কথা ভাবা হয়েছে। তাতে সাড়া পাওয়া গেলে আসানসোল-দুর্গাপুর-কলকাতা বাসে তা চালু করা হবে।
এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে ইন্টারনেটে টিকিট কাটার ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তমোনাশবাবু জানান, সংস্থার আধিকারিকদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “কাজ অনেকটা এগিয়েছে। আশা করা যায়, আগামি দু’মাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু করা যাবে।”
কেন এমন উদ্যোগ, সে প্রশ্নে তমোনাশবাবু জানান, টিকিট কাটা নিয়ে দালাল দৌরাত্ম্য বন্ধ করতেই ইন্টারনেটে টিকিটের চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়। এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিভিন্ন সূত্রে তাঁদের কাছে খবর আসে, অনেক সময়েই সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কাটতে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে তা পান না। তখন এক শ্রেণির দালালের খপ্পরে পড়েন তাঁরা। সুযোগ বুঝে বেশি টাকায় ওই যাত্রীদের টিকিট বিক্রি করে দালালেরা। মাঝে-মধ্যে যাত্রীরা তাদের হাতে হেনস্থা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ছাড়াও কনডাক্টরদের হাতে যাত্রীদের হেনস্থার অভিযোগও আসে মাঝে-মধ্যে। ভাড়া নিয়ে কিছু কনডাক্টর টিকিট দেন না বলে অনেক সময়ে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ই-টিকিট চালু হলে এই সব সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ।
সংস্থার চেয়ারম্যন তমনোশবাবু জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে বর্ধমান-কলকাতা রুটে এই পরিষেবার কেমন সাড়া মিলছে, তা দেখে আসানসোল-দুর্গাপুর-কলকাতা রুটে তা চালু করা হবে। এসবিএসটিসি-র সব রুটেই ভবিষ্যতে ইন্টারনেটে টিকিট কাটার ব্যবস্থার পরিকল্পনাও রয়েছে। তাতে এক দিকে যেমন যাত্রী হয়রানি কমানো যাবে, তেমনই সংস্থার কাজেও স্বচ্ছতা এনে লাভ বাড়ানো যাবে বলে মনে করছেন কতৃর্পক্ষ।
তবে সংস্থার কিছু আধিকারিক মনে করেন, এই ব্যবস্থা চালু করার আগে সমস্ত রুটে বাস যাতে নিয়মিত চলে তা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে টিকিট কাটার পরে যাত্রীরা বাস পেতে হয়রান হবেন।