এই মাঠে হবে সভা। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার ঘণ্টা বেজে গেল বর্ধমানে। দলীয় স্তরে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতিও। কিন্তু শহরে নয়, শহরের বাইরে বড়নীলপুরে সভা করা হবে ঠিক হয়েছে। বিজেপির দাবি, পুরসভা অনুমতি না দেওয়ায় শহরের বাইরে সভা করা ছাড়া উপায় ছিল না।
বৃহস্পতিবার ওই সভার প্রস্তুতি নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির বর্ধমান জেলা গ্রামীণের সভাপতি দেবীপ্রসাদ মল্লিক। অমিত শাহ ছাড়াও সিদ্ধার্থ নাথ সিংহ, বাবুর সুপ্রিয়, এস এস অহলুওয়ালিয়া ও রাহুল সিংহ ওই সভায় হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। দেবীপ্রসাদবাবু জানান, বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের চৌরঙ্গি ফুটবল ময়দানে দুপুর ২টো নাগাদ ওই সভা হবে। তার আগে সকালে টাউনহলে দলের নানা জেলার ৩৬ জন সভাপতিও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে তিন ঘণ্টার একটি বৈঠক করবেন অমিতবাবু। বিজেপির দাবি, সভা সফল করার জন্য প্রতিটি ব্লকের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকে জেলার প্রত্যেকটি শহর ও গ্রামে ফ্লেক্স, ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার শুরু করা হবে বলেও দলের দাবি।
কিন্তু শহরের ভেতরের কোনও মাঠে ওই সভা হল না কেন? বিশেষত, বেশিরভাগ জনসভা উৎসব ময়দানে হয়? দেবীপ্রসাদবাবুর দাবি, “আমরা শহরের বুকে কোনও মাঠই কার্যত পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের শহরের বাইরে সভাটিকে নিয়ে যেতে হয়েছে। কয়েকটি স্কুলের মাঠ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ ওই সভার জন্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউ মাঠ দিতে রাজি হয়নি। এমনকী পুরসভাও উৎসব ময়দানে সভা করার অনুমতি দেয়নি।” আর সভাস্থল হিসেবে বর্ধমানকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “এই শহরেই তো খাগড়াগড় কাণ্ড ঘটেছে। ওই ঘটনায় যুক্তদের সকলকে আজও গ্রেফতার করা যায়নি। ওই ঘটনায় তৃণমূলের যোগ প্রমাণিত। তবুও ওই দলের অভিযুক্তদের পুলিশ ধরেনি। তা ছাড়া বর্ধমান দক্ষিণবঙ্গের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় অন্য জেলার সভাপতিরাও চেয়েছিলেন অমিতজির সভা বর্ধমানে হোক।” দলের বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ নন্দীর দাবি, “এখনও প্রচার তেমন ভাবে শুরু হয়নি। কিন্তু নানা জেলার মানুষ প্রতিদিন ফোন করে সভাটি সম্পর্কে জানতে চাইছেন।”