পুজোর আগে পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কার, দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাস্তার উপর রেল ওভারব্রিজে আলোর ব্যবস্থা করাত হবে ইত্যাদি ১১ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর পুরসভায় স্মারকলিপি দিল বিজেপি। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় মাইকের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক ছড়াল পুরসভা চত্বরে। পুলিশের অভিযোগ, মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় নি। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সমস্ত অনুমতিই ছিল। এ দিন বিজেপির হাজার দেড়েক সমর্থকের গাঁধি মোড় থেকে মিছিল করে এসে পুর-ভবনের সামনে জমায়েত করেন।
বিজেপি-র অভিযোগ, পুর এলাকার প্রায় সবকটি রাস্তাই দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল। কোথাও পিচ উঠে গিয়েছে, কোথাও আবার তৈরি হয়েছে গর্ত। বিজেপির দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অখিল মণ্ডলের আশঙ্কা, “সামনেই পুজো। অবিলম্বে রাস্তাগুলি সংস্কার করা না হলে আনন্দের দিনে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিভঙ্গেরও অভিযোগ করেছে বিজেপি। পুর নির্বাচনের আগে তৃণমূল সিটি সেন্টারের ‘ডিয়ার পার্ক’টি চালু করার কথা বলেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর আড়াই বছর কেটে গেলেও পার্কটি চালু করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিজেপি-র আরও অভিযোগ, বন্ধ পার্কটিতে কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় পার্কের গাছগুলি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সের জন্য পুরসভা ন্যায্য মূৃল্যের অনেক বেশি টাকা নিচ্ছে। বিজেপির দুর্গাপুর ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি কল্যাণ দুবের অভিযোগ, “ট্রেড লাইসেন্স বানানোর জন্য খরচ এক ধাক্কায় প্রায় দুগুণ বেড়ে গিয়েছে। বেকার যুবকেরা ব্যবসা করতে চাইলেও ওই টাকা দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। পুরসভার উচিত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।” শহরে পানীয় জলের সমস্যা নিয়েও সরব হয়েছে বিজেপি। সিটি সেন্টারের ভগৎ সিংহ স্টেডিয়ামে শহরের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে বলেও স্মারকলিপিতে দাবি জানানো হয়।
যদিও মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “অধিকাংশ রাস্তার টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে। সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরুর হবে। বাকি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”