উদ্ধার হওয়া মূর্তি।—নিজস্ব চিত্র।
পাল সেন যুগের একটি প্রাচীন পার্বতী মূর্তি ঠাঁই পেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায়। বুধবার শ্যামলালের ডক্টর সত্যচরণ মৈত্র রোডের বাসিন্দা বারীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার ওই মূর্তিটি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। মিউজিয়ামের কিউরেটর রঙ্গনকান্তি জানা বলেন, “১৯৩৭ সালে পশ্চিম দিনাজপুরের বাঁকরাইল গ্রামে একটি পুকুর সংস্কারের সময় মূর্তিটি পাওয়া গিয়েছিল। পরে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার বর্ধমানের বাড়িতে সেটি আনেন। দীর্ঘদিন পূজা-অর্চনা করলেও সম্প্রতি স্থানীয় গবেষক সঞ্জীব চক্রবর্তীর কাছে মূর্তিটি মিউজিয়ামে দান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তাঁরা। সঞ্জীববাবুই মিউজিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।”
বেলেপাথরের তৈরি পার্বতী মূর্তিটি দেড় ফুট লম্বা ও ৯ ইঞ্চি চওড়া। তবে দীর্ঘদিন জলের নীচে থাকায় কালচে ছোপ পড়ে গিয়েছে বলে রঙ্গনবাবুর মত। চর্তুভুজা মূর্তির ডান দিকে গণেশ ও বাঁ দিকে লক্ষ্মী রয়েছে। নীচে এক দিকে দণ্ডায়মান রয়েছে সম্পদ স্থানক মূর্তি। শরীরের অন্য অংশ মোটামুটি অটুট থাকলেও খোঁড়াখুঁড়ির সময়ে মুখের একাংশ ভেঙে গিয়েছে বলে রঙ্গনবাবুর অনুমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার জানান, কিছুদিন আগে ললিত কলা অ্যাকাডেমিকে নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছিল যে যাঁদের কাছে পুরনো মূর্তি রয়েছে তাঁরা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মিউজিয়ামে তা সংরক্ষণ করা হবে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা সুদীপা রায় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই মূর্তিটি একাদশ-দ্বাদশ শতকের বলে অনুমান করা হচ্ছে। পাবর্তীর ডান দিকে গণেশ মূর্তির পাশে যে কলাগাছটি রয়েছে তা বঙ্গীয় শিল্পকলার বৈশিষ্ট্য।