বিক্ষোভে মহিলারা।—নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে পাড়ার ভিতর মোবাইল টাওয়ার বসানোর অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখালেন সিটি সেন্টারের নন- কোম্পানি এলাকার সেল কো-অপারেটিভ হাউসিং কমপ্লেক্সের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ থেকে শারীরিক নানা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে তা সরানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন-কোম্পানি এলাকার তারাশঙ্কর সরণির একটি বাড়ির ছাদে একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হয় বেশ কয়েক মাস আগে। স্থানীয় বাসিন্দারা টাওয়ার বসানোর প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেন প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে। তাঁদের দাবি, টাওয়ার থেকে নিরন্তর তড়িত্ চুম্বকীয় তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিকম, পরিবেশ এবং জৈব-প্রযুক্তি মন্ত্রকের কর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিটি ২০১২ সালের মাঝামাঝি রিপোর্ট দেয়, জনবসতির মধ্যে টাওয়ার থেকে যে বিকিরণ ছড়ায় তার কুপ্রভাব পড়ছে মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রে। অবসাদ, ঘুমের ব্যাঘাত, ঝিমুনি ভাব বেড়ে যাওয়া, মনসংযোগে সমস্যা, স্মৃতিশক্তি বিলোপ, মাথাব্যথা, হজম ক্ষমতা কমে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই মোবাইল ব্যবহার না করেও শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, গর্ভবতী ও শিশুরা। কুপ্রভাব এড়াতে পারছে না পশুপাখিরাও।
বাসিন্দাদের চাপে শেষ পর্যন্ত টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবার ওই বাড়ির পাশে মাটি খুঁড়ে কেবল পাতার কাজ করছিল বেসরকারি মোবাইল সংস্থাটি। মহিলাদের বিক্ষোভে কর্মীরা কাজ বন্ধ রেখে চলে যান।
রাজ্যের সমবায় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সমবায় আবাসনের ছাদে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করা যায় না। বাড়ির মালিক আদিত্যকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, সম্প্রতি সমবায় দফতর থেকে ওই টাওয়ার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট টেলি যোগাযোগ সংস্থা এখনও তা সরায়নি। মোবাইল সংস্থার স্থানীয় এক আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”