এই সব নির্মাণ নিয়েই অভিযোগ। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে।—নিজস্ব চিত্র।
টাকা নিয়ে লোকজনকে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার ফাঁকা জমিতে থাকার ‘ছাড়পত্র’ দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। আর তাতে মদত দিচ্ছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর দুর্গাপুর থানায় এই অভিযোগ করল বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দলের কয়েক জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে বিজেপি।
বিজেপির দাবি, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ইস্পাত নগরীর একটি নর্দমা গিয়েছে। সেই নর্দমা ও তার পাড়ের বেশ কিছু অংশে টাকা নিয়ে বেআইনি ভাবে থাকার অনুমতি দিয়েছেন এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী। তাঁদের পিছনে রয়েছেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দন সাহা। বিজেপির দাবি, এই জায়গা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের। যাদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে তারা বহিরাগত। তারা সেখানে পাকা নির্মাণও করছে। বিজেপির ওয়ার্ড সভাপতি বিশু চৌধুরী দাবি করেন, “যে সব লোকেদের এখানে জায়গা দেওয়া হয়েছে তাদের কোনও ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড নেই। তারা কোন এলাকার বাসিন্দা, তা-ও জানা যাচ্ছে না।” অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে লাঠি, রড, পিস্তল নিয়ে চড়াও হন কাউন্সিলর ও তাঁর কিছু অনুগামী। শুক্রবার সকালেও হামলা হয়। বিশুবাবুর অভিযোগ, “আমাকে ইট ছুড়ে মেরেছে ও খুনের হুমকি দিয়েছে। আমি ভয়ে এখনও ঘরছাড়া।”
ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, নর্দমা ও তার পাশে কিছু এলাকায় পাকা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এলাকাবাসী এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেন, এই এলাকায় বেশির ভাগ পরিবার গরিব। তাদের কোনও জমি দেওয়া হয়নি। অথচ, বাইরের লোককে জমি দেওয়া হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এ ভাবে ঘরবাড়ি তৈরির ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। এমনকী নর্দমাও সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
কাউন্সিলর চন্দনবাবু অবশ্য দাবি করেন, এ সবের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। তিনি জানান, এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় দু’টি ক্লাবের সদস্যেরা তাঁর কাছে এসেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি তাঁদের বলেছি, এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সব ঠিক করুক। আমি কিছু জানি না।” বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “হাস্যকর অভিযোগ।”