কর্মীরা ক্ষুব্ধ, কংগ্রেসের প্রার্থী টের পেলেন কর্মিসভায়

একে দেরিতে নাম ঘোষণা। তার উপরে প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়ও তেমন প্রতিষ্ঠিত নয়। এ নিয়ে দলের কর্মীরা ফুঁসছিলেন। প্রথম কর্মিসভায় গিয়ে তা টের পেলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ অগস্তি।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪৪
Share:

একে দেরিতে নাম ঘোষণা। তার উপরে প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়ও তেমন প্রতিষ্ঠিত নয়। এ নিয়ে দলের কর্মীরা ফুঁসছিলেন। প্রথম কর্মিসভায় গিয়ে তা টের পেলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ অগস্তি। বিরোধী প্রার্থীদের সঙ্গে যুদ্ধের পাশাপাশি দলের কর্মীদের পাশে পেতেও যে লড়তে হবে, দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে রবিবার বুঝলেন তিনি।

Advertisement

রাজনীতিতে নতুন আসা প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলকর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে নানা কেন্দ্রে। এ বার সেই চিত্র কংগ্রেসে। সঙ্গে যোগ হয়েছে হঠাৎ প্রার্থী বদলের বিড়ম্বনাও। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রথমে বিপিন ভোরাকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই শিল্পপতিকে প্রার্থী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বর্ধমানের নেতা-কর্মীরা। বিপিনবাবু পারিবারিক কারণ দেখিয়ে সরেও দাঁড়ান। শেষে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে প্রদীপবাবুকে প্রার্থী করা হয়। অসন্তোষ তাতেও কমেনি। পানাগড়ে দু’টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও একটি পিটিটিআই-এর মালিক প্রদীপবাবু কখনও সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না দাবি স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মীর।

কর্মিসভায় পরিচয় পর্বের পরে দলের প্রাক্তন বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি সুদেব রায় বলেন, “প্রার্থী নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলাম। পরে কাগজে দেখলাম, প্রদীপবাবু প্রার্থী হয়েছেন। যাই হোক, কে প্রার্থী বড় কথা নয়। লক্ষ্য কংগ্রেসের জয়। সবাইকে ঝাঁপাতে হবে।” জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রার্থীকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করতেই গোলমালের শুরু। শহরের কংগ্রেস নেতা স্বপন মিত্র বলেন, “প্রার্থী কী বলবেন? আগে আমরা, যাঁরা মাঠেঘাটে খেটে দল করি, তাঁদের কথা শুনতে হবে প্রার্থীকে।” আর এক কর্মী প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “মনোনয়ন জমার শেষ দিন পেরোনোর পরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হোক। কারণ, প্রার্থী সরে দাঁড়াবেন না, নিশ্চয়তা কোথায়? মানুষকে তো জবাবদিহি করতে হয় আমাদের।” পরিস্থিতি সামলান নেতারা।

Advertisement

অন্য সব দল তিন সপ্তাহ প্রচার সেরে ফেলেছে। বাকি আর সপ্তাহ তিনেক। এইটুকু সময়ে কী ভাবে সাতটি বিধানসভা এলাকায় প্রচার সারা হবে, প্রশ্ন তোলেন কর্মীরা। প্রার্থী প্রদীপবাবু বলেন, “এক এক কর্মী এক এক রকম। নানা জনের নানা প্রশ্ন। আমার বাবা কংগ্রেস নেতা ছিলেন। সিপিএম আমাদের বাড়িতে দু’বার হামলা চালিয়েছিল। আমি লড়াই ছেড়ে পালানোর বান্দা নই।” পরিস্থিতি সহজ করার চেষ্টা করেন দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি সুরজিৎবাবুও। তাঁর বক্তব্য, “কর্মীরা স্বতস্ফূর্ত ভাবে মত প্রকাশ করেছেন। আমাদের দলে সব সময় অন্য মত থাকেই। মাঠে কিন্তু সবাই একজোট হয়ে নামেন।”

এই কেন্দ্রে যে সমস্যা রয়েছে, তা একান্তে মেনে নিচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। প্রদীপ ভট্টাচার্যের দাবি, “প্রাথমিক ভাবে কিছু সমস্যা ছিল। তা মিটে গিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement