আস্থা ভোটে হেরে পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া সিপিএমের

বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত সমিতির হাতবদল সালানপুরে। শুক্রবার প্রশাসনের তরফে ডাকা আস্থা ভোটের তলবি সভায় যোগ না দেওয়ায় এই সমিতির বোর্ড হাতছাড়া হতে চলেছে বামেদের। ফলে, অনাস্থা এনে একতরফা জিতে গিয়েছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে। প্রশাসনের তরফে তার দিনক্ষণ জানানো হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:০৩
Share:

বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত সমিতির হাতবদল সালানপুরে। শুক্রবার প্রশাসনের তরফে ডাকা আস্থা ভোটের তলবি সভায় যোগ না দেওয়ায় এই সমিতির বোর্ড হাতছাড়া হতে চলেছে বামেদের। ফলে, অনাস্থা এনে একতরফা জিতে গিয়েছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে। প্রশাসনের তরফে তার দিনক্ষণ জানানো হবে।

Advertisement

গত ১ সেপ্টেম্বর আসানসোলের মহকুমাশাসকের কাছে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূলের সদস্যেরা। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন এক জন কংগ্রেস সদস্য। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস শুক্রবার তলবি সভা ডাকেন। সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ের চারপাশে কড়া পুলিশি পাহারা রাখা হয়েছিল। দুপুর ১২টার কিছু আগে কংগ্রেস সদস্যকে নিয়ে কার্যালয়ে ঢোকেন তৃণমূলের সদস্যেরা। সঙ্গে প্রায় ৫০টি মোটরবাইক ও বেশ কিছু গাড়িতে চেপে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে হাজির হয়।

কিছু ক্ষণ পরেই সালানপুরের বিডিও প্রশান্ত মাইতিকে সঙ্গে নিয়ে সভাস্থলে আসেন আসানসোলের এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শম্ভু চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা জানিয়ে দেন সিপিএমের সদস্যদের জন্য এক ঘণ্টা অপেক্ষা করা হবে। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও সিপিএম সদস্যদের কেউ উপস্থিত হননি। দুপুর ১টা নাগাদ প্রশাসনের তরফে বৈঠক শুরু করা হয়। তৃণমূলের তরফে ফের বর্তমান বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানো হয়। কিন্তু, বর্তমান সভাপতি জগদীশ মালাকার ও সিপিএমের কেউ সভায় উপস্থিত না থাকায় আস্থা অর্জনের প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়নি। একতরফা ভাবে তৃণমূলের প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। তৃণমূলের সদস্যেরা বাইরে বেরিয়ে আসার পরে শুরু হয় আবির খেলা। তৃণমূল সদস্যদের তরফে শ্যামল মজুমদার বলেন, “আমরা যোগ্যতার নিরিখেই বোর্ডের ক্ষমতায় আসতে চলেছি। এক বছর পরে এ বার এখানে উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।”

Advertisement

সিপিএমর সদস্যেরা কেন আস্থা অর্জনের তলবি সভায় এলেন না? অপসারিত সভাপতি জগদীশ মালাকার দাবি করেন, তাঁরা দলের তরফে এ দিনের সভায় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা গত এক বছরে যথাসাধ্য উন্নয়ন করেছি। কংগ্রেসের কয়েক জনকে নিজেদের দলে নিয়ে অনাস্থা এনেছে তৃণমূল। আমরা এখন সংখ্যালঘু। এ বার ওঁরাই দায়িত্বে বসবেন।”

২৩ আসনের এই পঞ্চায়েত সমিতিতে গত পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম ১১টি, তৃণমূল ৮টি ও কংগ্রেস চারটি আসন দখল করেছিল। গত ৩১ অগস্ট তিন জন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের সদস্য বেড়ে হয় ১১ জন। অনাস্থা আনার ব্যাপারে তৃণমূলকে বাইরে থেকে সব রকম সমর্থনের আশ্বাস দেন কংগ্রেস সদস্য কৃষ্ণচন্দ্র মাহাতো। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, বর্তমান বোর্ড ভেঙে গিয়েছে। সাত দিনের মধ্যে ফের সভা ডেকে সভাপতি নির্বাচন করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement