Money Fraud

ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, নিমতার যুবক গ্রেফতার বর্ধমানে

কিছু দিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরের দিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিস। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুদীপ ভট্টাচার্য। উত্তর ২৪ পরগণার নিমতা থানার ২ নম্বর শ্রীকৃষ্ণপল্লিতে তাঁর বাড়ি। সোমবার বিকেলে বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হয়। হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করা এবং বাকি অভিযুক্তদের হদিশ পেতে ধৃতকে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। শেষমেশ ধৃতের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরের দিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়। তার পর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় ওই বেকার যুবক প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেন। তিনি বাবা-মা এবং পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৮ টাকা প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। উল্টে আরও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। টাকা জমা না করলে চাকরি হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।

বারবার টাকা চাওয়ায় সন্দেহ হয় অর্ঘ্যের। তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। শক্তিগড় থানা ঘটনার কিনারায় সাইবার থানা থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেয়। অভিযুক্তদের ফোন নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সাইবার থানা জানতে পারে, কলকাতার বিরাটি থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় অর্ঘ্যর দেওয়া টাকা জমা পড়েছে। ব্যাঙ্কের নথি দেখে সেটি সুদীপের বলে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪ দফায় মোট ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা জমা পড়ে। তার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে, অভিযুক্তের সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement