রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস সংস্থার বটলিং প্ল্যান্টে বৃহস্পতিবার ফের বিক্ষোভ দেখালেন কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া। বুধবার দুর্গাপুরের ওই প্ল্যান্টের কর্মীদের গেট পাস বাতিল করার পরে গত দু’দিন সেখান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সিলিন্ডারের সঙ্কট শুরু হয়েছে। এ দিন ছাঁটাই কর্মীদের পাশে দাঁড়ায় সিপিএম। দলের নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে কর্মীদের কাজ থেকে বসানো হয়েছে। তাঁদের কাজে বহাল করতে হবে। আমরা অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছি।’’
ট্রাকে সিলিন্ডার তোলা-নামানোর কাজে এক শ্রেণির ঠিকাকর্মী অসহযোগিতা করায় দিনে গড়ে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে, কিছু দিন আগে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছিল ওই সংস্থা। প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে। একটি কমিটিও গড়া হয়। তার পরেও পরিস্থিতি না পাল্টানোয় বুধবার থেকে পরিবহণকারীদের তরফে ১১২ জন ঠিকা-শ্রমিকের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ ৮৫ জনের গেট পাস বাতিল করা হয়। কাজে যোগ দিতে না পেরে প্ল্যান্টের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বৃহস্পতিবারও ঠিকা-শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখান। ফলে, পরপর দু’দিন বন্ধ হয়ে রয়েছে ট্রাকে সিলিন্ডার তোলা-নামানোর কাজ। তাতে সিলিন্ডারের সরবরাহে ঘাটতি শুরু হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আগের মজুরি ও কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষ নতুন চুক্তি করতে টালবাহানা করছেন। অথচ, দিন-দিন কাজের পরিমাণ বাড়িয়েই চলেছেন। প্রতিবাদ করায় অন্যায় ভাবে প্ল্যান্টের গেটে পঞ্চাশোর্ধ কর্মীদের নামের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। গেট পাসও বাতিল করা হয়েছে তাঁদের। বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের তরফে মনিকাঞ্চন কেশের বক্তব্য, ‘‘কোনও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে আগাম নোটিস ছাড়া একতরফা ভাবে কর্তৃপক্ষ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।’’
সিপিএম নেতা পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘ছাঁটাইয়ের যে নোটিস গেটে রয়েছে তাতে কারও সই নেই। ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তার পরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী আমরা।’’ মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। রাতে মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘এক দফা বৈঠক হয়েছে। এখন আরও এক দফা বৈঠক চলছে। সমাধনসূত্র না বেরোলে শুক্রবার ফের বৈঠক হবে।’’