Septic Tank Death

সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নেমে মৃত্যু শ্রমিকের, জামালপুরে অসুস্থ আরও এক

সেপটিক ট্যাঙ্কেরই ঢালাইয়ের পাটা খোলার জন্য গিয়েছিলেন সোয়েদ আর নাজিম। কাজ শুরু করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ট্যাঙ্কের ভিতরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন সোয়েদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ২৩:১৮
Share:
An image of Septic Tank

সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নেমে ঢালাইয়ের পাটা খুলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। —নিজস্ব চিত্র।

সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নেমে ঢালাইয়ের পাটা খুলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। আর এক শ্রমিক গুরুতর অসুস্থ। বুধবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার বিশ্বাসপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ মৃত শ্রমিক সোয়েদ আলির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় জখম নাজিম মল্লিককে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা অতনু ঘোষ নামে এক শিক্ষক নিজের বাড়িতে দিন কয়েক আগে একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করান। ওই সেপটিক ট্যাঙ্কেরই ঢালাইয়ের পাটা খোলার জন্য গিয়েছিলেন সোয়েদ আর নাজিম। কাজ শুরু করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ট্যাঙ্কের ভিতরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন সোয়েদ। অনেক ডাকাডাকি সত্ত্বেও সাড়া না পেয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নামেন নাজিম। তিনিও অসুস্থ বোধ করতে থাকায় চিৎকার করেন। তা শুনেই ছুটে যান অতনু এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা। সকলে মিলে দু’জনতে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই সোয়েদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

সোয়েদ, নাজিমরা যাঁর দলে কাজ করেন, সেই রাজমিস্ত্রি সুকুমার হালদার বলেন, ‘‘সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরের ঢালাইয়ের পাটা খুলতে নেমে আমার দুই শ্রমিকের যে এমন অবস্থায় হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি।’’ জামালপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, শ্রমিকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল নদিয়ার ভীমপুরে একই রকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সেখানেও নবনির্মিত সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে ঢালাইয়ের পাটা খুলতে নেমে শুভেন্দু দে, সুমন বিশ্বাষ ও অমৃত বিশ্বাস নামে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement