Attempt To Murder

স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক মিলে স্বামীকে বেঁধে খুনের চেষ্টা, মন্তেশ্বরের ঘটনায় ঘোরালো হচ্ছে রহস্য

মন্তেশ্বরের লোহারগ্রামের বাসিন্দা মনিরুল মণ্ডল। ন’বছর আগে মনিরুলের বিয়ে হয় কালনার বুলবুলিতলার তরুণী ডলির সঙ্গে। প্রেমিককে নিয়ে ডলি মনিরুলকে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ১২:২২
Share:
Wife and her fiance allegedly tried to kill a man at Manteswar of Purba Bardhaman

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্বামীকে খুন করতে প্রেমিককে নিয়ে বলিউডি ছায়াছবির চিত্রনাট্যকে হার মানিয়ে দেওয়ার মতো পরিকল্পনা করেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচলেন স্বামী। ওই ঘটনায় শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত। এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বরের লোহারগ্রামের বাসিন্দা মনিরুল মণ্ডল। ন’বছর আগে মনিরুলের বিয়ে হয় কালনার বুলবুলিতলার তরুণী ডলির সঙ্গে। তাঁদের সাত বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। দিল্লিতে পোশাকের দোকানে কাজ করতেন মনিরুল। মাস তিনেক আগে তিনি নিজের বাড়িতে ফেরেন। বর্তমানে তিনি এলাকায় টোটো চালান। তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে মনিরুলকে দুধের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দেন ডলি। তিনি ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যান। এর পর তাঁর হাত-পা বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে দেয় স্ত্রী ডলি এবং সাদ্দাম নামে তাঁর প্রেমিক মনিরুলকে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

মনিরুল বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ডলি আমার হাত-পা শক্ত করে বেঁধে দেয়। তখনই সন্দেহ হয়। যদিও তার আগে স্ত্রী আমাকে দুধ খেতে দেয়। তা খেয়ে আমি ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। মনে হয় ওই দুধেই কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পর ডলি এবং সাদ্দাম আমার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে আমাকে মেরে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি বাঁচার জন্য চিৎকার করি। তা শুনে আমার পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাকে উদ্ধার করে।’’

Advertisement

মনিরুলের ভাই রেজাবুল মণ্ডল বলেন, ‘‘দাদার চিৎকার শুনেই আমরা ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকি। দেখি দাদার হাত-পা বাঁধা রয়েছে। পাশেই তখন বৌদি দাঁড়িয়ে। দাদা খাটের তলার দিকে ইশারা করে। খাটের তলায় তাকাতেই দেখতে পাই সাদ্দাম ওখানে মাদুর চাপা দিয়ে লুকিয়ে রয়েছে।’’

চিকিৎসার জন্য মনিরুলকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে। কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গোটা ঘটনায় দু’পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement