পরীক্ষা পেরোতে পরামর্শ মিলবে কর্তাদের কাছে

শিক্ষকের ভূমিকায় প্রশাসনের কর্তারা। পড়ুয়া চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীর দল। দুঃস্থ বেকারদের কর্মজীবনের দিশা দেখাতে উদ্যোগী হয়েছেন দুর্গাপুরের আধিকারিকেরা। পরিকল্পনা করেছিলেন তদানীন্তন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন।

Advertisement

অর্পিতা মজুমদার

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০০:১০
Share:

শিক্ষকের ভূমিকায় প্রশাসনের কর্তারা। পড়ুয়া চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীর দল। দুঃস্থ বেকারদের কর্মজীবনের দিশা দেখাতে উদ্যোগী হয়েছেন দুর্গাপুরের আধিকারিকেরা।

Advertisement

পরিকল্পনা করেছিলেন তদানীন্তন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। প্রশাসনের আধিকারিকেরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পেরিয়ে কর্মজীবনে আসেন। ফলে, এই রকম পরীক্ষার প্রস্তুতি কী ভাবে নেওয়া দরকার তা তাঁদের জানা। কী ধরনের বই পড়া উচিত, সাক্ষাৎকারের সময়ে আদব-কায়দা কেমন হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে তাঁরা সাহায্য করতে পারেন চাকরিপ্রার্থীদের। সৌমিত্রবাবু নিজে পরীক্ষার্থীদের জন্য সম্প্রতি একটি বইও লেখেন। দুঃস্থ বেকারদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে এগিয়ে আসুন আধিকারিকেরা, মাস দুয়েক আগে তাঁর এমন প্রস্তাব লুফে নিয়েছিলেন দুর্গাপুরের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা। শুরু হয় পরিকল্পনা। শেষমেশ আগামী মাস থেকে তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে।

আধিকারিকেরা জানান, প্রাথমিক ভাবে মোট ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত ২০ জন যোগাযোগ করেছেন। তবে সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। মে থেকে শুরু হবে ‘কেরিয়ার গাইডেন্স’। শঙ্খবাবু জানান, অনেক প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। পড়ুয়াদের কোনও নোটস দেওয়া হবে না। তবে কোনও বিষয়ে কোথাও আটকে গেলে সাহায্য করবেন তাঁরা। গ্রন্থাগার থেকে বইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘পয়সা খরচ করে বেসরকারি কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সঙ্গতি যাঁদের নেই, তাঁদের সুবিধা হবে।’’

Advertisement

প্রশাসনের নানা আধিকারিক জানান, সরাসরি এ ভাবে তাঁরা বেকার তরুণ-তরুণীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি। এক বার চাকরি পাওয়ার পরে তাঁদের অনেকেরই আর আগের পড়াশোনার সঙ্গে যোগ থাকে না। নতুন উদ্যোগে তাঁরা আবার সে সব ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। চাকরিপ্রার্থীদের মতে, নিয়োগকর্তার দৃষ্টিভঙ্গি কী রকম হতে পারে, প্রশাসনের আধিকারিককেরা অন্য শিক্ষকদের তুলনায় তা ভাল ব্যাখ্যা করতে পারবেন। তা ছাড়া কোনও আধিকারিক যদি নিজে বিশেষ কোনও বই থেকে বাড়তি সাহায্য পেয়ে থাকেন, তা পড়ুয়াদের জানাতে পারবেন। তাতে সুবিধে হবে।

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেবেন এমন কয়েকজন পড়ুয়া সোহম পাত্র, পুজা মণ্ডল, ঋজু মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘এ ভাবে সরাসরি আধিকারিকদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ খুব কাজে দেবে বলে মনে করি।’’ ভবিষ্যতে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দুঃস্থ পরীক্ষার্থীদেরও সাহায্য করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান শঙ্খবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement