খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’-এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে এলাকার গরিব মানুষজনের জন্য রান্না করা খাবার বিলিতে উদ্যোগী হলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দামোদরপাড়া এলাকার বৃদ্ধাশ্রম থেকে প্রতিদিন এক হাজার মানুষের জন্য খাবার বিলি করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার, নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই চালু হয়েছে এই উদ্যোগ। এ দিন ভাত, সয়াবিনের তরকারি ও ডিম সেদ্ধ দেওয়া হয়। আদিবাসীপল্লি-সহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার গরিব পরিবারের হাতে সেই খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। প্রথমে ‘স্যানিটাইজ়ার’ দিয়ে হাত ধোওয়ানো হয় বাসিন্দাদের। তার পরে তাঁদের ‘মাস্ক’ দেওয়া হয়। এর পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব দাঁড় করিয়ে খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত গরিব পরিবারগুলিকে খাবার দেওয়া হবে। মেনুতে বদল আনা হবে প্রতিদিন।’’ স্বপনবাবুর বিধানসভা এলাকায় তাঁতের শাড়ি বোনার কাজ করতে এসে উত্তরবঙ্গের বহু শ্রমিক আটকে পড়েছেন। তাঁদের খাবারের সঙ্কটও দেখা দিয়েছে বলে খবর। স্বপনবাবু জানান, রেশন কার্ড না থাকায় সরকারি চাল, আটা পেতে ওই শ্রমিকদের অসুবিধা হবে। তবে তাঁরা যাতে বিপাকে না পড়েন, সে জন্য নসরৎপুর এলাকায় প্রায় ১,৩০০ এবং ধাত্রীগ্রাম এলাকার প্রায় ৪৫০ জন শ্রমিককে পাঁচ কেজি করে চাল ও দু’ কেজি করে আলু দেওয়া হচ্ছে। এ দিন থেকে আকন্দপুকুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির তরফেও এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশো জনকে বাড়ি-বাড়ি রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
কালনা ২ ব্লক তৃণমূলের তরফেও ইতিমধ্যে লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে। দলের ব্লক সভাপতি প্রণব রায় বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের যাতে খাদ্যসঙ্কট না হয়, তা নজরে রাখা হচ্ছে।’’