মারধরে জখম। নিজস্ব চিত্র।
মিছিল করে ত্রাণ সংগ্রহে বেরোনোর সময়ে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরীর বিদ্যাসাগর অ্যাভিনিউয়ে সিটু অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে। বেধড়ক মারধরে তাদের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে সিপিএম নেতৃত্ব জানান। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি গাড়ি-মোটরবাইকেও। তৃণমূল অবশ্য হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, সিপিএমের লোকজন তাদের কর্মীদেরই মারধর করেছে।
সিপিএমের অভিযোগ, নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ১৭ মে বঙ্কিমচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে তৃণমূলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হন দলের বেশ কয়েক জন কর্মী। দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যাসাগর অ্যাভিনিউয়ে সিটু কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করে ত্রাণ সংগ্রহে বেরোনোর কথা ছিল সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের। সেই মতো মিছিলের জন্য অনেকে জড়ো হয়েছিলেন।
সিপিএমের অভিযোগ, সেই সময় শতাধিক তৃণমূল কর্মী লাঠি, বাঁশ, ইট নিয়ে চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় মিছিলের জন্য জড়ো হওয়া লোকজনকে। এমনকী, পার্টি অফিসের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরবাইকও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। রাস্তার পাশে থাকা একটি স্কুটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দলেরই একটি গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। সিটু অনুমোদিত হিন্দুস্থান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ দত্ত অভিযোগ করেন, হামলা থেকে রেহাই পাননি তাঁদের মহিলা কর্মীরাও। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি। আহত কর্মীরা নানা হাসপাতালে ভর্তি।’’ সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘মানুষ আমাদের হয়ে পথে নামছেন, তা তৃণমূল মানতে পারছে না। তাই বারবার হামলা করছে।’’
তৃণমূল যদিও হামলার কথা মানতে চায়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগ করেন, সিপিএমের লোকজন এলাকা দখলের জন্য জড়ো হয়েছিল। তাঁদের দলের কর্মীরা তা রুখতে গেলে মারধর করা হয়। তাতে তাঁদের তিন কর্মী আহত হন বলে অমিতাভবাবুর দাবি। এডিসিপি (পূর্ব)অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না। তবে হামলার অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে।’’