এক দম্পতির দেহ মিলল জামালপুর থানার চিকনহাটি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রাম থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে ডিভিসি সেচখালের ধারে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রমজান আলির (৪৬) দেহ মেলে। তার ঘণ্টা দেড়েক পরে সেচখালে তাঁর স্ত্রী ফতুমান বিবির (৩৭) দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। ওই দম্পতির ছেলের অভিযোগ, বাবা-মাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের যদিও অনুমান, পারিবারিক কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি।
এ দিন সকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে দাঁড়িয়ে ওই দম্পতির ছেলে শেখ সুরজ জানান, সোমবার সাতসকালে সাইকেলে চড়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে উত্তর মোহনপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। পরে পেশায় খেতমজুর, রমজান আলির শরীরের আরোগ্য কামনায় কিছুটা দূরে দাদপুরে পীরের মাজারে যান তাঁরা। সেখান থেকে আবার উত্তর মোহনপুরে ফিরে গিয়ে রাতে থেকে থেকে পরের দিন বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে দেহ মেলার খবর পান তিনি। সারা রাত বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি বলেও তাঁর দাবি। উত্তর মোহনপুরের ওই আত্মীয়রা যদিও জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ পীরের মাজার থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পরেই বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দেন তাঁরা। তারপরে আর যোগাযোগ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উত্তর মোহনপুর থেকে চিকনহাটি যাওয়ার পথেই ওই ডিভিসি সেচখাল পড়ে। এ দিন স্থানীয়রাই গাছে গামছার ফাঁস লাগানো রমজান আলির দেহ দেখতে পান। পুলিশে এসে দেহ উদ্ধার করার পরে ফতুমান বিবির খোঁজ শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেচখালে ভাসমান অবস্থায় তাঁর দেহও মেলে। সুরজের অভিযোগ, দু’জনের দেহে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাঁদের খুন করা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ।
জামালপুর থানার পুলিশ যদিও জানিয়েছে, দেহদু’টি উদ্ধারের পরে দেখা গিয়েছে রমজান আলির দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। আর ফতুমান বিবির দেহে যে ক্ষত পাওয়া গিয়েছে তা ডুবে থাকা অবস্থায় মাছ বা পোকামাকড়ের কামড় বলেও পুলিশের অনুমান। পুলিশের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। কোনও অভিযোগ হয়নি বলেও পুলিশের দাবি।