প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের সিপিএম কর্মী শেখ রাজিবুল হক (৩৬)-এর খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের ডিএসপি (ডিএনটি) বীরেন্দ্র পাঠক এ কথা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম জালালউদ্দিন মোল্লা এবং শেখ আবুল হোসেন। তাঁদের মধ্যে জালালউদ্দিনের বাড়ি আউশগ্রামের বেলেমাঠ গ্রামে। আবুল বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাতে নিজের এলাকা থেকেই তাদের গ্রেফতার করে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুল লালন নামে তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা তথা সম্পন্ন ব্যবসায়ী। এ ছাড়া অমরপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোল্লা এবং অমরপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান ইবাদত শেখ। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার বিকেলে আউশগ্রামের অমরপুরের বিষ্ণুপুরে তৃণমূল এবং সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে জখম হয়েছিলেন রাজিবুল। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁকে প্রথমে বননবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার গভীর রাতে রাজিবুলকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শনিবার রাজিবুলের ভাই শেখ আজাহারউদ্দিন আউশগ্রাম থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘আউশগ্রামের ঘটনা দুঃখজনক। এমনটা কখনই কাম্য নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের নামটা জড়ানো ঠিক নয়।