তৃণমূলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে শিল্পী পরীক্ষিত বালা। নিজস্ব চিত্র
সকালে দলের মহিলা প্রার্থীদের রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে সামিল করা। বিকেলে ভিড়িঙ্গির কার্যালয় থেকে বড় মিছিল। সন্ধ্যায় আবার লোকগানের শিল্পী পরীক্ষিত বালাকে নিয়ে অনুষ্ঠান। পুরসভা দখলে রাখতে প্রচারে জোর বাড়াচ্ছে তৃণমূল।
বিধানসভা ভোটে এলাকার দু’টি আসনে হারের পরে দুর্গাপুরে পুরভোট পাখির চোখ তৃণমূলের। গত কয়েকদিন ধরে কার্যত মাটি কামড়ে শহরে পড়ে রয়েছেন দুই বর্ধমানের নেতারা। জিতেন্দ্র তিওয়ারি, ভি শিবদাসনের মতো আসানসোলের নেতারা সকালে আসছেন, রাতে ফিরছেন। বর্ধমানের নেতারা রয়ে গিয়েছেন টানা। যেমন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এক-এক জনের রয়েছেন কয়েকটি করে ওয়ার্ডের দায়িত্বে।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, দলীয় নেতৃত্ব মনে করেন, বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির অন্যতম কারণ ছিল অন্তর্ঘাত। এখন সঙ্গে যোগ হয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। প্রার্থিতালিকায় জায়গা না পেয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের বাগে আনার চেষ্টা চলছে নানা ভাবে। কাউকে নরমে-গরমে বোঝানো হচ্ছে। আবার কাউকে অন্য ওয়ার্ডে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন, এমএএমসি এলাকার এক ওয়ার্ডের এক নেতা নির্দলের হয়ে মনোনয়ন তুলেছিলেন। পরে তিনি প্রত্যাহার করে নিলেও ঝুঁকি নিতে চাননি দলীয় নেতৃত্ব। তাঁকে অন্য ওয়ার্ডে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বেনাচিতি এলাকার এক বিদায়ী কাউন্সিলরকে নিয়ে এখনও দুশ্চিন্তা রয়েছে বলে দাবি দলের নেতাদের। তিনি অবশ্য প্রচারে বেরোচ্ছেন।
সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি সভা করেছেন শহরে। আসানসোলের অন্য নেতাদের মতো বিশেষ দায়িত্বে না থাকলেও প্রচারে নেমেছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। রবিবার প্রার্থীরা এলাকায়-এলাকায় মিছিল করেন। বাড়ি-বাড়ি প্রচার প্রায় শেষ। সোমবার দলের মহিলা প্রার্থীরা নিজেদের ওয়ার্ডে রাখিবন্ধন উৎসব করেন। বিকেলে ভিড়িঙ্গির দলীয় কার্যালয় থেকে বড় মিছিল বের হয়। ছিলেন মন্ত্রী স্বপনবাবু। সন্ধ্যায় সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ মাঠে দলের প্রচারে হাজির হন লোকগানের শিল্পী পরীক্ষিত বালা। খালি গলায় গান গেয়ে শোনান তিনি। সোনারতরী এলাকায় অনুষ্ঠানও করেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা দলের এই জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস শহরের ৪৩টি ওয়ার্ডেই রোড-শো করবেন বলে ঠিক হয়েছে।