তৃণমূল কর্মী খুন কেতুগ্রামে

ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ উঠল কেতুগ্রামে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেতুগ্রামের নিরোলে পঞ্চায়েত ভবনের কাছেই ধান খেতে মহম্মদ শেখ (৫০) নামে ওই ব্যক্তির দেহ মেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহত মহম্মদ শেখের পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।

ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ উঠল কেতুগ্রামে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেতুগ্রামের নিরোলে পঞ্চায়েত ভবনের কাছেই ধান খেতে মহম্মদ শেখ (৫০) নামে ওই ব্যক্তির দেহ মেলে। দেহের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। পুলিশের দাবি, ভোজালির এলোপাথারি কোপ মারা হয়েছে। যদিও খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। রাতে ন’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী রেণুকা বিবি।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১টা নাগাদ পাঁচুন্দির হাট থেকে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন খলিপুরের সাতভাই পাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ শেখ। নিরোল পঞ্চায়েত ভবনের কাছে ওই ঘটনা ঘটে। নিহতের ভাইপো মুস্তাকিম শেখের দাবি, তাঁর কাকাকে মেরে ধানখেতের ধারে ফেলে পালিয়েছে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তবে এলাকায় তেমন লোকজন না থাকায় কত জন হামলা চালিয়েছে বা কীভাবে ঘটনাটি ঘটে তা জানা যায়নি। এলাকার বাসিন্দারা শুধু জানান, বুকে, ঘাড়ে, পায়ে ভোজালির এলোপাথাড়ি কোপ নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় খেতে পড়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। গরুদুটি পাশেই ঘুরছিল। তবে কান্দরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি।

নিহতের স্ত্রী রেণুকা বিবি বলেন, ‘‘উনি গরুর ব্যবসা করতেন। এ দিন হাট থেকে ফিরছিলেন বলে সঙ্গে হাজার চল্লিশেক টাকাও ছিল।’’ তবে টাকা লুঠের জন্যই খুন কি না তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি। প্রতিবেশিরা জানান, নিহত মহম্মদ শেখ সম্পর্কে কেতুগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূল নেতা জাহের শেখের পিসেমশাই হন। জাহিরের অনুগামী বলেও এলাকায় পরিচিত তিনি। তবে দলের কোনও গোলমালে এই ঘটনা কি না তা জানাতে পারেননি তাঁরা। জাহির শেখ যদিও দলেরই আর এক গোষ্ঠীর নেতা সুফি সাউদুর মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর এক অনুগামীর দাবি, ‘‘আমাদের সঙ্গে ভোট করিয়েছিল বলেই ওনাকে খুন করল সাউদ মিঞার দলবল। এখন আমরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সাউদ মিঞা বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি কাটোয়ায় ছিলাম। এর সাথে আমার কোনও যোগ নেই।’’ নিহতের মেয়ে রেখা বিবির অবশ্য দাবি, ‘‘বাবা কোনও দল করতেন না। গরিব খেটে খাওয়া নির্বিবাদী মানুষ ছিলেন।’

Advertisement

পুলিশ যদিও খুনের পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না কি ব্যবসায়ীক শত্রুতা, বা পারিবারিক গোলমাল তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি এ দিন। পুলিশের দাবি, বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। বামুন্ডি গ্রাম থেকে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement