সরকারের নানা প্রকল্পের সুবিধা বোঝাতে মহিলাদের দল গড়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিন মহিলা তৃণমূল। রবিবার বর্ধমান শহরের বীরহাটা সেতুর কাছে পার্বতী মাঠে ব্রিগেডকে সামনে রেখে ওই সভা হয়।
সভায় হাজির রাজ্য সংগঠনের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা কলকাতা পুরসভার কমিশনার অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য স্তরে ঠিক করেছি, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য কী করেছেন সেটা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে।’’ ঠিক হয়েছে, ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত সদস্য বা সমিতির সদস্যরা একটি দল গঠন করে বাড়ির উঠোন থেকে পুকুর পাড়ে পৌঁছে যাবেন। রাজ্যের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘কন্যাশ্রীর অনুকরণে কেন্দ্র ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তার প্রকল্পের জন্য ৫৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। ৫৪ লক্ষ পড়ুয়া অনুদান পেয়েছে। আর কেন্দ্রের প্রকল্পে বরাদ্দ ১০০ কোটি সবটাই বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ হয়েছে।’’
সংগঠন সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে টক্কর দিতেই এই পরিকল্পনা। যদিও বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলার সভানেত্রী দেবযানী গড়াইয়ের দাবি, ‘‘তৃণমূলের মিথ্যা প্রচার রুখতেই আমরা কার্জন গেটে সমাবেশ করছি।’’ সিপিএমের মহিলা সংগঠনের রাজ্যের নেত্রী সাধনা মল্লিকেরও দাবি, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।’’
এ দিন সভায় আসা গাড়িগুলি বীরহাটা সেতু লাগায়ো রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। তার ফলে যানজট তৈরি হয়। সমস্যায় পড়েন পথচলতি মানুষজন। শহরের ভিতর ঢোকা ও বেরনোর জন্য বাঁকার উপর দুটি সেতু রয়েছে। এক সময় দেখা যায়, সংস্কার চলা সেতু দিয়েই যাতায়াত চলছে। জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তৃষ্ণা সরকার বলেন, ‘‘সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সাময়িক ভাবে সমস্যা হলেও আমরা দুঃখিত।’’ চন্দ্রিমাদেবী বক্তব্য শুরু করতে অনেককেই মাঠ ছা়ড়তে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা চলে যাচ্ছেন, তাঁদের যেতে দিন। জোর করে আটকাবেন না। যাঁরা আছেন, তাঁরাই আমাদের দলের সম্পদ।’’ এ বারের ব্রিগেডে দেশের সব বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা আসবেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মহিলাদের হাজিরা দেখে বেশ বিরক্ত হন জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। সভার শেষে ‘রোল নম্বর’ ডাকার মত করে পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীদের ডেকে পাঠান তিনি। অনেকেই গরহাজির ছিলেন।