বিজেপিকে বিঁধে মিছিল, পথসভা

আগাগোড়া বিজেপিকেই বিঁধে গেলেন তৃণমূলের নেতারা। জেলা ভাগের আগের দিন কার্জন গেটে সিপিএমের সমাবেশে ভাল জমায়েত হয়েছিল। রামনবমীর দিন বর্ধমান ও কাটোয়ায় বেশ বড় মিছিল বের করেছিল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৩২
Share:

আগাগোড়া বিজেপিকেই বিঁধে গেলেন তৃণমূলের নেতারা।

Advertisement

জেলা ভাগের আগের দিন কার্জন গেটে সিপিএমের সমাবেশে ভাল জমায়েত হয়েছিল। রামনবমীর দিন বর্ধমান ও কাটোয়ায় বেশ বড় মিছিল বের করেছিল বিজেপি। তারই পাল্টা হিসেবে রবিবার বিকেলে বর্ধমান স্টেশন থেকে পুলিশ লাইন বাজার পর্যন্ত মিছিল করল তৃণমূল। পুলিশের দাবি, এ দিনের মিছিলে ৮০ হাজার মানুষ পা মিলিয়েছেন।

কাটোয়া থেকেই ৭৪টি বাসে করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা সভায় আসেন। জামাপুর, গলসি, পূর্বস্থলী, কালনা থেকেও সমর্থকেরা যোগ দেন। তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের দাবি, “মিছিলে এক লক্ষ মানুষ হেঁটেছেন।” যদিও বিরোধীদের দাবি, ৩০ থেকে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ শাসক দলের সঙ্গে ছিলেন না। মিছিলের জেরে তিনটে থেকে প্রায় দু’ঘন্টা ধরে অচল হয়ে পড়ে জিটি রোড। রাস্তার ধারে ভিড় জমে যায় গাড়ির। যানজটে নাজেহাল হয়ে পড়ে শহরবাসী।

Advertisement

মিছিলের শেষে পথসভায় বিজেপি বিরোধিতার সুর বেঁধে দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। মুখ্যমন্ত্রীর মাথার দাম থেকে রামনবমীর মিছিলের প্রসঙ্গে তুলে হুমকির সুরে তিনি বলেন, “তরোয়াল লাগবে না। দলের পতাকাই যথেষ্ট। ঘরে ঢুকিয়ে দেব। রাস্তায় শুধু গরীব মানুষ থাকবে।” বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত, বর্ধমানের পুরপারিষদ অরূপ দাসদের বক্তব্যেও ছিল একই সুর। স্বপনবাবুও রামনবমীর দিন মিছিলের প্রসঙ্গ টেনে হাসতে হাসতে বলেন, “আমাদের তরোয়াল দেখিয়ে লাভ নেই। ও সবে ভয় পাই না। আমাদের আসল শক্তি হল জনতা।’’

যদিও বিজেপির বর্ধমান সদরের সভাপতি সন্দীপ দাসের দাবি, “আমরা যে তৃণমূলের মাথাব্যথা হয়ে উঠছি, মিছিল সেটাই জানিয়ে দিল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement