বিক্ষোভ-অবস্থান, বিরোধিতায় তৃণমূল

শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাটোয়া শহরের নজরুল মুক্তমঞ্চে অবস্থান করে তৃণমূল। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

বর্ধমানে তৃণমূলের কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র

জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জেলার নানা প্রান্তে অবস্থান, বিক্ষোভ, ধর্না-সহ নানা কর্মসূচি নিল তৃণমূল।

Advertisement

শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাটোয়া শহরের নজরুল মুক্তমঞ্চে অবস্থান করে তৃণমূল। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতারা। সেখান থেকে স্বপনবাবু বলেন, ‘‘এনআরসি, সিএএ-র জন্য দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নাগরিকদের নিজ ভূমি পরবাসী করে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ। এর বিরোধিতায় আমাদের প্রতিবাদ।’’

তবে সেখানেই স্বপনবাবু মন্তব্য করেন, ‘‘যেখানে দলের কর্মসূচি সেখানেই যেতে হবে। স্বপন দেবনাথ বা রবিবাবু নিমন্ত্রণ করলেন, বা না করলেন, এ সবে কিছু যায় আসে না। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে ঘরে বসে থাকলে চলবে না।’’ মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীদের একাংশ জানান, ওই কর্মসূচিতে তৃণমূলের কাটোয়া শহর সভাপতি অমর রাম এবং দু’জন কাউন্সিলরকে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘দলের যে কোনও কর্মসূচি প্রত্যেককেই জানানো হয়। এ দিনের কর্মসূচি নেত্রীর ঘোষিত কর্মসূচি।’’ যদিও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য ফোন করা হলেও উত্তর দেননি অমরবাবু। এসএমএস এবং হোয়াটস অ্যাপ করা হলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি।

Advertisement

পাশাপাশি, এ দিন কর্মসূচি সেরে যাওয়ার পথে, দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ স্বপনবাবু দলের দাঁইহাট শহরের সভাপতি রঞ্জিত সাহাকে দেখে প্রকাশ্যেই বলেন, ‘‘এত দেরি করে শুধু মুখ দেখালে চলবে? কর্মসূচিটা কারও ব্যক্তিগত নয়, দলের।’’ তবে রঞ্জিতবাবুর বক্তব্য, ‘‘কর্মসূচির কথা আমাকে কেউ জানাননি। সংবাদমাধ্যমের থেকে জেনেছি।’’

বর্ধমানে কার্জন গেট চত্বরেও অবস্থান বিক্ষোভ করে তৃণমূল। ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস-সহ অন্যেরাও। গুসকরা বাসস্ট্যান্ড, ভাতার হাউসিং মাঠে আয়োজিত কর্মসূচিতেও যোগ দেন দলীয় নেতারা। গুসকরায় আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়।

পাশাপাশি, এ দিন কালনার বৈদ্যপুর মোড় এলাকায় দলীয় কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। সেখানে যোগ দেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ, তৃণমূল নেতা প্রণব রায় প্রমুখ। পূর্বস্থলীর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিক্ষোভ-সভাটি হয় রেলবাজারে। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী স্বপনবাবু। পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রে বিশ্বরম্ভা এলাকায়, মন্তেশ্বরে সাতগাছিয়ায় কর্মসূচিটি পালিত হয়। কালনা, মন্তেশ্বর, আউশগ্রাম, রায়না ও খণ্ডঘোষে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর দেবু টুডু বলেন, ‘‘নেত্রীর ডাকে লাগাতার এ বিষয়ে আন্দোলন চলবে।’’ এ ছাড়াও জেলার নানা প্রান্তে কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement