নয়া: ট্রান্সফর্মারগুলির আশেপাশেই বসবে টাইমার। নিজস্ব চিত্র
একই সময়ে সমস্ত বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলবে ও নিভবে। এর জন্য কালনা শহরের ১৫৭টি জায়গায় পুরসভা বসাতে চলেছে ‘টাইমার’। পুরসভা জানায়, এর জন্য খরচ হবে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। পুরসভার দাবি, এর ফলে যেমন নির্দিষ্ট সময়ে আলো জ্বলবে, তেমনই সাশ্রয় হবে বিদ্যুতের বিলও।
কালনা শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে রয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। মহকুমার একমাত্র শহর হওয়ায় দোকান, বাজার-সহ নানা প্রয়োজনে শহরে আসেন লাগোয়া বহু গ্রামের মানুষও। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, শহরের নানা রাস্তায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বাতিস্তম্ভ রয়েছে। ফি দিন সন্ধ্যা নামার আগে থেকে এই সমস্ত বাতিস্তম্ভগুলি জ্বালানোর কাজ শুরু হয়। নানা জায়গায় ৬০টি পয়েন্টে গিয়ে এই আলো জ্বালানোর কাজ করেন তিন জন কর্মী। এর ফলে কোথাও দিনের আলো থাকতে যেমন আলো জ্বালিয়ে দিতে হয়। কোথাও বা আবার অন্ধকার নামলেও আলো জ্বলে না। যেখানে দেরিতে আলো জ্বলে, সেখানে বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে পথ-নিরাপত্তা নিয়ে। পাশাপাশি দিনের আলো থাকতে যে সব এলাকায় পথবাতি জ্বলে, সেখানে বিদ্যুৎ নষ্ট হয়। পুরসভার দাবি, পথবাতি ও বিভিন্ন জলের পাম্পগুলি নিয়ে ফি মাসে বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় প্রায় সাত লক্ষ টাকা।
বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করতে ও একই সময়ে সমস্ত জায়গায় আলো জ্বালানো-নেভানোর কাজ যাতে করা যায়, সে বিষয়ে মাস তিনেক আগে উদ্যোগী হয় কালনা পুরসভা। খোঁজ নিয়ে পুরসভা জানতে পারে কলকাতার একটি সংস্থা এই টাইমার লাগানোর কাজে দক্ষ। এর পরেই তাদেরই ডেকে পাঠানো হয়। শহরের একটি জায়গায় দুর্গা পুজোর সময়ে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়।
কালনা পুরসভার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘সপ্তাহ খানেকের মধ্যে শহরে টাইমার লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’ কিছু ট্রান্সফর্মারের আশেপাশে এই টাইমারগুলি বসানো হবে বলে জানান পুরসভার আধিকারিকেরা। তিনি আরও জানান, পুরসভার পরিকল্পনা রয়েছে বিভিন্ন পাম্পগুলির ক্ষেত্রেও পরবর্তী সময়ে টাইমার লাগানো হবে। তাতে বহু সময় বাড়তি জল দিতে লোকের যে সমস্যা হয়, তা হবে না।