রানিগঞ্জের অশোকপল্লি যুব সমাজের মণ্ডপ। —নিজস্ব চিত্র।
দিল্লির অক্ষরধাম, রাজস্থানের মন্দির, বৌদ্ধমঠ থেকে চন্দ্রাভিযানের রকেট— এ বার খনি এলাকায় কালীপুজোয় উঠে আসছে এমনই বিচিত্র বিষয়। বাংলার গ্রামীণ পরিবেশের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।
রেল শহর অন্ডালের পোস্টঅফিস মোড়ে রেজিমেন্ট ক্লাব এ বার ৫১ বছরে পা দিল। বাঁশ, খড়ের ব্যবহারে গ্রামের বাড়ির আদলে মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। মূর্তি সাবেক। অন্ডাল রেলশহরে নর্থ ইউনাইটেড ক্লাবের পুজোর বয়স ৬৮। রাজস্থানের একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সেজে উঠছে। মায়ের মূর্তিতে রাজস্থানী শৈলীর প্রভাব আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। রাধাকৃষ্ণ বাঁশি বাজাচ্ছে, এই আদলে অণ্ডাল রেলশহরের সাউথ বাজারে চিত্তরঞ্জন ক্লাবের মণ্ডপ হচ্ছে। রাধার আদলে কালীর হাতেও বাঁশি থাকছে।
রানিগঞ্জের অশোকপল্লি যুব সমাজের পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে দিল্লির অক্ষরধামের আদলে। তিন দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। জেকেনগর লাগোয়া জেমেরি পল্লিমঙ্গল সমিতির মূল আকর্ষণ ২৫ ফুট উচ্চতার কালী। পাণ্ডবেশ্বর তপশিলি উন্নয়ন সমিতির পুজোয় এ বার দক্ষিণ ভারতের একটি বৌদ্ধমঠের আদলে মণ্ডপ। মাটির তৈরি মূর্তি হলেও দেখে মনে হবে পাথরের। পাণ্ডবেশ্বর ত্রাণ সমিতির পুজোয় চন্দ্রাভিযানের রকেটের অনুকরণে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। কুলটির ডিসেরগড়ে ফ্রেন্ডস কালীপুজো কমিটির পুজো শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। সেই বছর বন্যা হয়েছিল। দামোদর নদ লাগোয়া কিলবার্ন এলাকায় বন্যার সময় ভীতি থেকেই পুজো চালু করার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী। বিরাট শিবের মূর্তি বিশেষ আকর্ষণ।
দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পুজো শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। স্থানীয় যুবকদের নিয়ে গঠিত বিনোদিনী নাট্য সংস্থা সেই বছর ‘পাল্কিভাঙা বউ’ নামে একটি যাত্রা করে। যাত্রায় কালীপুজোর দৃশ্য ছিল। একটি কালীর মূর্তি নিয়ে বিভিন্ন মঞ্চে অভিনয় করেন তাঁরা। বছর শেষে মূর্তিটিকে বিসর্জন না করে মহাসমারোহে পুজো শুরু হয়।