প্রতীকী চিত্র।
রাস্তা দখল করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা বন্ধ করতে দোকানদারদের ফুল, মিষ্টির প্যাকেট পাঠাবে পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভা। মাইকে ওই সব দোকানের নাম, সেগুলি কোন রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে, তা-ও জানানো হবে। পুরসভার দাবি, এমন ‘গাঁধীগিরি’-তেই হুঁশ ফিরবে দখলদারদের।
কিন্তু কেন এমন পরিকল্পনা? পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ-সহ প্রশাসনের কর্তাদের আশা, এ ভাবে মাইকিং করে নাম প্রকাশ, দোকানে জিনিস কিনতে বলায় দোকানের ভিতরে জিনিস বিক্রি হচ্ছে না, এই ভেবে লজ্জায় পড়বেন ওই দোকানদারেরা।
কালনা শহরে বছর দু’য়েক আগে তেঁতুলতলা থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত শহরের সব থেকে ব্যস্ততম রাস্তাটি দখলমুক্ত করে পুরসভা। ওই রাস্তাটি চওড়াও করে পুরসভা। এলাকাবাসী জানান, সেই সময়ে বেশ কিছু দোকানকে রাস্তা থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে দেয় পুরসভা। কিছু দোকানের অস্থায়ী সামনের অংশ ব্যবসায়ীদের খুলে নিতে বলা হয়।
শহরবাসীর অভিযোগ, মাস ছয়েকের মধ্যেই ফের দেখা যায় দখলদারি। দোকানদারদের একাংশ রাস্তায় জিনিস রেখে বিকিকিনি করছেন। রাস্তার দু’ধারে সাইকেল, মোটরবাইক রাখা, নিকাশি নালার উপরে স্ল্যাব বসিয়ে বিকিকিনি,চলছে। তিন ব্যবসায়ীকে নোটিস পাঠানো হয়। পুরপ্রধান জানান, সিমেন্টের স্ল্যাব বা ঢালাই সরাতে সংশ্লিষ্ট দোকানগুলির কাছে আর্জি জানানো হবে।
শহরের ব্যবসায়ী তপন মোদকের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘সব ব্যবসাদার এমন ভাবে ব্যবসা করেন না। পুরসভার এই পদক্ষেপে নিশ্চয় অনেকেরই চোখ খুলবে।’’ তবে দখল-মুক্তি অভিযান, লাগাতার প্রচারে যে কাজ হয়নি, শুধু এমন ‘গাঁধীগিরি’তে তা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে ধন্দে অনেক ক্রেতাই।