Purba Bardhaman

ছাত্রীর সঙ্গে ‘অশালীন আচরণ’, গ্রেফতার শিক্ষক! হুলস্থুল পূর্ব বর্ধমানের স্কুলে, পাকড়াও অভিভাবকেরাও

পূর্ব বর্ধমানে খণ্ডঘোষে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হয়েছেন ওই শিক্ষক এবং কয়েক জন অভিভাবক। একই অভিযোগ ওঠে ভাতারের একটি স্কুলেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খণ্ডঘোষ ও ভাতার শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ১৮:৫৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ঘটনা। স্কুলে বিক্ষোভ এবং পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগে পাকড়াও হলেন কয়েক জন অভিভাবকও।

Advertisement

বুধবার স্কুল চলাকালীন এক শিক্ষক চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে ‘অশালীন’ আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ছাত্রী মারফত তার বাবা-মা এবং প্রতিবেশীরা এই কথা জানার পর বৃহস্পতিবার স্কুল খোলার সময় শুরু হয় গন্ডগোল। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ওই স্কুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের উপর চড়াও হন কয়েক জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশবাহিনী। ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি হয় তাদের। অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা ইটবৃষ্টি শুরু করে। এমনকি, ধাওয়া করা হয় পুলিশকেও। শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করতে হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও এ রকম আচরণের অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা চান, ওই শিক্ষক যেন আর কোনও দিন কোথাও শিক্ষকতা করতে-না পারেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের গাড়িতে ইট মারা হয়। ইটের ঘায়ে গাড়ির কাচ ভাঙে। কয়েক জন পুলিশকর্মীও আহত হন। এ জন্য মোট আট জন পুরুষ এবং দু’জন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, খণ্ডঘোষের পর ভাতারের একটি স্কুলেও একই রকমের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন এক শিক্ষক, এই অভিযোগে স্কুলের সামনে জড়ো হন স্থানীয়েরা। ঘেরাও হন ওই শিক্ষক। প্রধানশিক্ষককে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। স্কুলের একটি ঘরে প্রধানশিক্ষক এবং অভিযুক্ত সহ-শিক্ষককে ঢুকিয়ে দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা এই ভাবে চলার পর ভাতার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। যদিও পুলিশের কাছে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিভাবকরাও জানিয়েছেন তাঁরা শিক্ষা দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন। অভিভাবকদের মধ্যে এক জন বলেন, ‘‘আমার নাতনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। ও বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা বলে। আমরা স্কুলে এসে জানতে পারি অন্তত ৩৬ জন ছাত্রীর সঙ্গে একই রকম ভাবে অশালীন আচরণ করেছেন ওই শিক্ষক। ওঁর শাস্তির দাবি করছি।’’ অভিযোগ এবং বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধানশিক্ষক স্বপ্নাংশু লোধ বলেন, ‘‘অভিভাবকদের কোনও অভিযোগ থাকলে লিখিত ভাবে দিতে বলেছি। অভিযোগপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’ আর অভিযুক্ত সহ-শিক্ষকের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও তার কারণ বলতে পারেননি তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement