ধর্ষণ করে মোবাইলে ছবি তুলে রেখে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠল একশো দিনের কাজের এক সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। কালনা ১ ব্লকের বেগপুর পঞ্চায়েতের ওই সুপারভাইজার মোমরেজ শেখের যদিও পাল্টা দাবি, এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে।
সোমবার ভেরোপাড়া এলাকার বছর পঁচিশের এক বধূ কালনা থানায় অভিযোগ করেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় স্বামী বুলবুলিতলা বাজারে যাওয়ায় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। সেই সুযোগে বাড়িতে এসে মোমরেজ একশো দিনের কাজের জন্য ছবি চান। ঘরে ছবি বের করতে গেলে তিনিও ভিতর ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। সেই সময়ে মোবাইলে ছবিও তুলে রাখেন। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলে অশালীন ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোমরেজ আরও কয়েক বার তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে মহিলার অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘আমি আতঙ্কে রয়েছি। দোষীর শাস্তি চাই।’’
অভিযুক্তের যদিও দাবি, ঘটনাটি সাজানো। সোমবার মোমরেজ ফোনে অভিযোগ করেন, ‘‘ওই মহিলার যেখানে বাড়ি, আমি সেখানকার সুপারভাইজার নই। তৃণমূলের গোষ্ঠী-রাজনীতির শিকার হচ্ছি।’’ তাঁর দাবি, আগে তিনি এলাকায় দলের নেতা ইনসান মল্লিকের অনুগামী ছিলেন। কিন্তু এখন মিলন ঘোষ, হারান শেখের গোষ্ঠীতে রয়েছেন। সম্প্রতি দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় ইনসান মল্লিকের গোষ্ঠীর রোষ এসে পড়েছে তাঁর উপরে। সে কারণেই মিথ্যে অভিযোগ করানো হচ্ছে বলে মোমরেজের দাবি।
যদিও এই ঘটনায় তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা ইনসান। তিনি বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলে কোথাও কোনও গোষ্ঠী-কলহ নেই। কোনও মহিলা অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে। আমি বাইরে রয়েছি, বিষয়টি জানা নেই।’’ যদিও দলের আর এক নেতা মিলন ঘোষের বক্তব্য, ‘‘ইনসানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁর মদতেই এই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।’’
মন্ত্রী স্বপনবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বেগপুরে কী ঘটেছে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’ পুলিশ জানায়, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।